সকল মেনু

এবার ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব

budget_13071হটনিউজ২৪বিডি.কম : আসন্ন ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের জন্য ৮ লাখ ৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি (বিইএ)। আগামী অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের পরিমাণের চেয়ে বিইএর এ প্রস্তাব দ্বিগুণেরও বেশি এবং গত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় চারগুণ। মঙ্গলবার বিইএর সাবেক সভাপতি আবুল বারকাত রাজধানীর বিইএ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলসে এ বাজেট প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়তে একটি বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছি। তিনি আরও বলেন, আগামী অর্থ বছরের জন্য ৬ লাখ ৩৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকা রাজস্ব্য পাওয়া যাবে। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে পাওয়া যাবে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আয়কর ও লভ্যাংশ থেকে পাওয়া যাবে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং মূল্য সংযোজন কর থেকে পাওয়া যাবে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিইএর সভাপতি আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন আহমেদও বক্তব্য রাখেন।

বিশিষ্ট এ অর্থনীতিবিদ বলেন, বিদেশী নাগরিকদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার কোটি টাকা, স্বাস্থ্য কর থেকে পাওয়া যাবে ৩০ হাজার কোটি টাকা, সেবাকর থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং বেসামরিক বিমান ও ভ্রমণ কর থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, বিইএ চলতি অর্থ বছরের জন্য ৩৭ হাজার কোটি টাকা নন-এনবিআর করের প্রস্তাব করেছে। এই টাকা ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটের প্রায় ৩ গুণ। তিনি আরও বলেন, সমিতি আগামী অর্থ বছরের জন্য মাদকের ওপর ৭ হাজার কোটি টাকা, যানবাহনের ওপর ১৫ হাজার কোটি টাকা, ভূমি রাজস্ব ৫ হাজার কোটি টাকা এবং ভ্রমণ কর ৩ হাজর ৫শত কোটি টাকা রাজস্ব নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে।

রাজস্ব আদায়ের অন্যান্য খাতগুলো হলো, লাভ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, সুদ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা, কর ব্যাতিত অন্যান্য রাজস্ব থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা, রেলওয়ে থেকে ৫ হাজার কোটি টাকা, পৌরসভা হোল্ডিং কর থেকে ২ হাজার ৫ শত কোটি টাকা, বেসরকারি হাসপাতাল রেজিষ্ট্রেশন ও লাইসেন্স নবায়ন ফি থেকে ১ হাজার কোটি টাকা, বিউটি পার্লার থেকে ২ হাজার কোটি টাকা, আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউস থেকে ২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশী কনসালটেন্সি ফি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা কর আদায়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আবুল বারকাত বলেন, সাবির্ক ঘাটতি বাজেট হবে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। যা প্রস্তাবিত বাজেটের ২০ শতাংশ। তিনি বলেন , মোট বাজেটের মধ্যে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আসবে পাবলিক প্রাইভেট পাটনারশীপ (পিপিপি) থেকে, ৪৫ হাজার কোটি টাকা আসবে অনাবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে এবং ৩০ হাজার কোটি টাকা আসবে স্থানীয় ব্যাংক লোন থেকে। তিনি বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার (এডিপি) জন্য ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা এবং বাষির্ক অনুন্নয়ন ব্যায়ে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। লক্ষ্য অর্জন সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, দেশের এ সম্ভাবনা অর্জনে প্রয়োজন রাজনৈতিক দুরদর্শিতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নেতৃত্ব এবং সকল সেক্টরের মানুষের সম্পৃক্ততা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top