স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ:উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর পানি হু-হু করে বেড়েই চলেছে। গত চারদিনে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপদ সীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আত্রাই ও ফকিরানী নদীর দু’পাড়ে বাঁধের অন্তত: দশটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।এদিকে শুক্রবার সকালে উপজেলার পাঁজরভাঙ্গা হাটের বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া আত্রাই ও ফকিরানী নদীর দুই তীরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে আরো পাঁচ শতাধিক মানুষ।গত মঙ্গলবার থেকে হঠাৎ করেই আত্রাই নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তা বেড়ে এখন বিপদ সীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আত্রাই ও ফকিরানী নদীর দুই তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও বেড়ীবাঁধের গোয়ালমান্দা, চকহরিনারায়ন, পারনুরলাবাদ, বনকুড়া, কয়লাবাড়ি, পাঠাকাটা, পাঁজরভাঙ্গা বেড়ীবাঁধসহ অন্তত: দশটি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।ইতোমধ্যে শুক্রবার সকালে উপজেলার পাঁজরভাঙ্গা হাটের বেড়ীবাঁধটি ভেঙ্গে যায়। এতে হাটের গুদামঘর, দোকানপাটসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়েন বেড়ীবাঁধের ভেতরের প্রায় শতাধিক পরিবার। হাটের ইজারাদার একরামুল হক জানান, বন্যার পানিতে হাটের মুল জায়গা তলিয়ে যাওয়ায় বিশ্ববাঁধের ওপরে শুক্রবারের হাট বসানো হয়। এতে ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম অসুবিধায় পড়েন। রাস্তায় হাট বসানোর কারণে ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।অপরদিকে আত্রাই ও ফকিরানী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভেতরে বসবাসকারি পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ায় তারা চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় রান্না-বান্নাসহ পরিবারের সদস্য ও গবাদি পশু নিয়ে তাদের অসহায় অবস্থা বিরাজ করছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাওসার জাহান জানান, নদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তদারকির জন্য সংশিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।