সকল মেনু

বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী আদালতে

02mendi+n+safadi+center-for_12706হটনিউজ২৪বিডি.কম : নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের তিন মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে আসলামকে কারাগার থেকে নিয়ে এসে আদালতের হাজতে রাখা হয়েছে।

আদালত পুলিশের এসআই রুহুল আমিন বলেন, ‘তিনজন মহানগর হাকিম তিনটি মামলায় রিমান্ড শুনানি নেবেন। কিছুক্ষণে মধ্যে শুনানি শুরু হবে।’
এর মধ্যে মতিঝিল ও লালবাগ থানার নাশকতার দুটি মামলায় আসলামকে ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছে পুলিশ।

মতিঝিল থানার মামলাটি গত বছরের ৪ জানুয়ারির এবং লালবাগ থানার মামলাটি গত বছরের ৫ জানুয়ারির। দুই মামলায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে মিলে বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাতেও আসলাম চৌধুরীকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়েছে পুলিশ।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর প্রচেষ্টায় নানা ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম, ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা ও বোমাবাজির সঙ্গে আসামি আসলাম চৌধুরীর যোগসূত্র রয়েছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের নেতা আসলাম চৌধুরীকে মাস খানেক আগে বিএনপির নতুন কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মনোনীত করেন খালেদা জিয়া।

আর লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদি ইসরায়েলের বর্তমান সরকারের উপমন্ত্রী এম কে আয়ুব কারার একজন সাবেক উপদেষ্টা। তিনি নিজের নামে মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস প্রতিষ্ঠানটি চালান।
সম্প্রতি ভারতের এক সম্মেলনে তাদের দুজনের সাক্ষাতের ছবি ও খবর গণমাধ্যমে এলে আলোচনার সূত্রপাত হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে মিলে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে।

ইসরায়েল কিংবা মোসাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, আসলামের ওই সফর ছিল ‘ব্যক্তিগত’। তবে আসলাম বা সাফাদি কেউই ভারতে ওই সাক্ষাতের খবর অস্বীকার করেননি।
এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গত ১৫ মে ঢাকা থেকে আসলামকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
সাত দিনের ওই রিমান্ড শেষে ২৪ মে আদালতে হাজির করার পর নতুন করে নাশকতার দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

এরপর ২৬ মে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রব্বানি গুলশান থানায় আসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন, যেখানে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২০/বি (রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র), ১২১/এ (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ষড়যন্ত্র) এবং ১২৪/এ (রাষ্ট্রদ্রোহ) ধরায় অভিযোগ আনা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top