সকল মেনু

জামায়াত শিবিরে তান্ডবে অগ্নিদগ্ধ ১১ আওয়ামী লীগকর্মী

Hartalইকবাল হোসেন, রংপুর অফিস:নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারে বুধবার মামলার আসামী শিবির কর্মী ফেরদৌস মিয়াকে স্থানীয় আওয়ামী লীগনেতাকর্মীরা আটক করে পুলিশের দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগকর্মীদের পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে জামায়াত-শিবির। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১১ আওয়ামী লীগকর্মী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রংপুর জেলা আওয়ামী লীগনেতারা হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে যান । তারা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।

গোলনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা অগ্নিদগ্ধ মশিউর রহমান অভিযোগ করেন বুধবার রাতে শিবিরের ক্যাডার এবং হরতালে নাশকতার আসামী ফেরদৌসকে কালিগঞ্জ বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখে আমরা আটক করে পুলিশে তুলে দেই। এরপর ৩০ থেকে ৪০ জনের জামায়াত শিবিরের একটি সন্ত্রাসী দল লাঠি সোঠা নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। প্রাণ ভয়ে আমরা বাজারের একটি চালের গোডাউনে আশ্রয় নেই। এরপর তারা গোডাউনে তালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা বাজারের দোকান পাটে আগুন ধরিয়ে দিলে ১৫টি দোকান ভষ্মিভুত হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত হয় ২০ জন। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ১১ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধরা হলেন, ইয়াসিন আলী (৫৫), তালেব আলী (৪৫), রশিদুল ইসলাম (৩৮), ফরিদুল ইসলাম (৩০), মশিউর রহমান (৩৫), রণি (২২), বেকি চন্দ্র (৩০), রমেশ চন্দ্র (৩৫), পরিমল (৩৮), মনিরুজ্জামান (২৯), জয়নাল (২৫)। অগ্নিদগ্ধ ইয়াছিন আলী জানান, জামায়াত-শিবির আমাদের আগুনে পুড়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে না এলে তারা আমাদের মেরে ফেলত।

এদিকে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গতকাল রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম টুটুল জানান, অগ্নিদগ্ধরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। শিবির ক্যাডারকে ধরে পুলিশে দেওয়ার অপরাধে জামায়াত শিবির এই তান্ডব চালিয়েছে। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের পুড়িয়ে মারতে চেয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের তারা দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।

এব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, আহতদের অনেকের শরীরের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসার যাতে ক্রুটি না হয় সেজন্য চিকিৎসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস কুমার পণ্ডিত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top