সকল মেনু

এবার বিএনপির স্থায়ী কমিটিকে এক হাত নিলেন জাফরুল্লাহ

bnp-jasas_11947হটনিউজ২৪বিডি.কম : এবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে এক হাত নিলেন দলটি সমর্থক পেশাজীবী নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়সহ দলটির স্থায়ী কামিটির সদস্যদের ‘নতুন বৌ’ আখ্যায়িত করে সমালোচনায় ভাসালেন। বুধবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৭তম জন্মবার্ষিকীতে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাসাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ সমালোচনা করেন। কবি নজরুলের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ঢাকার পরিবর্তে কুমিল্লায় করার পরামর্শ দিয়ে তিনি চট্টগ্রামে সরকারি অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রশংসা করেন।

জাফরুল্লাহ বলেন, সব কিছু ঢাকাতে হবে কেন…কিন্তু খালেদা জিয়াও একটা ভালো কাজ করতে পারতেন। ঝড়ের দিনে ঢাকায় ঘরের মধ্যে বসে না থেকে কুমিল্লা শহরে গিয়ে নজরুলের উপরে একটি আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করতে পারতেন। আজকে সম্ভবত সেটি ভালো হতো ফখরুল ইসলামের জন্যও। সবকিছু বাঁধা-ধরা বন্দির মধ্যে থাকলে বিএনপির কোনো আশা নেই। হতাশাই এ দলটিকে থাকতে হবে। জাসাসের এ অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বক্তব্য রাখেন।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্যদের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাফরুল্লাহ বলেন, বিএনপির একটা স্থায়ী কমিটি আছে, ১৯ জনের মতো সদস্য। তার মধ্যে ৫ জন হয় মারা গেছেন অথবা শারীরিকভাবে অসুস্থ। বাকি ১৪ জন। দেশের এ দুর্দিনে এ অবস্থায় সপ্তাহে একটা মিটিংও করেন না তাদের চেয়ারপারসনের সাথে। তিনি বলেন, ইদানিং তারা একটা মিটিং করেছিলেন। আমাকে একজন রিপোর্ট করেছেন, সেখানে তারা নতুন বউয়ের মতো ঘোমটা দিয়ে বসেছিলেন শ্বাশুড়ির সামনে। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে আমাদের মুক্তির সংগ্রাম অনেক দূরে।
জাতীয় সম্মেলন করলেও এখনও নতুন স্থায়ী কমিটি হয়নি বিএনপির। সম্মেলনের পর সম্প্রতি খালেদা জিয়া পুরনো স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, দেশে স্বৈরতন্ত্র আছে, এটা সবাই জানে। আমরা এক কঠিন অবস্থায় আছি। দেশের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কী? চাবিকাঠি যার কাছে, তারা ঘুমন্ত রাজকন্যা। ঘুমিয়ে আছেন। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিএনপির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ দলটির দিকে তাকিয়ে আছে দেশবাসী। তারা সংগ্রাম করে ঘুমন্ত রাজকন্যা জাগাবেন, তারা জেগে দেশবাসীকে উদ্ধার করবেন। সেই সম্ভাবনাটা আমি খুব দেখতে পাই না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top