সকল মেনু

পোশাক খাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের প্রত্যাশা

RMG1463918073স্টাফ রিপোর্টার ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : ২০২১ সাল নাগাদ পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসিসের সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান।

তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর তৈরি পোশাক খাত। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি পোশাক খাতে ৮১ শতাংশ ভ্যালু অ্যাড করা সম্ভব।

রোববার বিকেলে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত বিজটেক বিটুবি কনফারেন্সে তৈরি পোশাক খাতের ওপর ইন্ডাস্ট্রি পেপার উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বেসিসের প্রাক্তন সভাপতি ও সিএসএল সফটওয়্যার রিসোর্সেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম রাউলির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, বেসিসের প্রাক্তন সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম ও বিকেএমইএর পরিচালক সেলিম মাহমুদ।

রাশিদুল হাসান বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। এই খাতে রপ্তানিতে বিশ্বের আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে পোশাক খাত থেকেই আয় হয়েছে ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে এ খাতে আয় আরো বহু গুণ বাড়ানো সম্ভব।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার চাহিদা পূরণের যথেষ্ঠ সক্ষমতা আছে আমাদের কোম্পানিগুলোর। বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর তৈরি সফটওয়্যার বিভিন্ন দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলো আন্তর্জাতিক মানের। দাম ও সেবার ক্ষেত্রেও সেগুলোতে বিদেশি কোম্পানির থেকে বেশি সহায়ক।

এর আগে সকালে শিক্ষা খাতের ওপর প্যানেল আলোচনা হয়। এতে শিক্ষা খাতের ওপর ইন্ডাস্ট্রি পেপার তুলে ধরেন বিডিজবস ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর। আনন্দ কম্পিউটারসের স্বত্ত্বাধিকারী ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বনমালী ভৌমিক, এলআইসিটি প্রকল্পের কমপোনেন্ট টিম লিডার সামি আহমেদ, ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জের পরিচালক কে এ এম মোরশেদ।

সভায় ফাহিম মাশরুর বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তির বিকল্প নেই। প্রাথমিক পর্যায় থেকেই কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া উচিত। দেশের সফটওয়্যারের বড় বাজার তৈরিতে আমাদেরকে সফটওয়্যার আমদানি না করে স্থানীয় কোম্পানির থেকেই প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার নিতে হবে।

শনিবার শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠান রোববার রাতে ডিনারের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। স্থানীয় বাজারে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার বাজার সম্প্রসারণে, প্রাইভেট সেক্টর অটোমেশন/ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিত করা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ আয়োজন।

কনফারেন্সে ব্যাংকিং ও ফিন্যান্স, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তৈরি পোশাক খাতের ওপর ইন্ডাস্ট্রি পেপার উপস্থাপন, আলাদা চারটি প্যানেল আলোচনা, প্রদর্শনী এবং বিটুবি মিটিং হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ও বেসিস যৌথভাবে এই কনফারেন্সের আয়োজন করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top