সকল মেনু

টাঙ্গাইলে এমপি রানাসহ চার ভাইয়ের বাড়ির মালামাল জব্দ

৩নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২১ মে : টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার পলাতক আসামি সংসদ সদস্য রানা ও তার তিন ভাইয়ের বাড়ির মালামাল জব্দ করেছে পুলিশ। একই সাথে তাদের বাড়ির পাশে অবস্থিত তাদের এক ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তির বাসা থেকে একটি ফ্রিজ জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়ার নেতৃত্বে আসামিদের মালামাল জব্দের এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে আসামি চার ভাইয়ের পিতা আতাউর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। তার বাড়িতে কনিষ্ঠ পুত্র কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার বসবাসের কক্ষ থেকে একটি আলমারি ও চারটি চেয়ারসহ পুরাতন কাপড়-চোপড় জব্দ করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ওসি নাজমুল হক ভুঁইয়া জানান, আদালত থেকে ক্রোকাদেশের আগেই এমনটা ঘটতে পারে ধারণা করে আসামিরা তাদের অধিকাংশ মালামাল সরিয়ে নেয়ায় অভিযানকালে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। এমপি রানাসহ তিন ভাই পিতার বাড়িতে এবং অপর ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি পার্শবতী নিজ বাড়িতে থাকতেন। মামলার অপর এক আসামি আলমগীর খানের শহরের বাসায় অভিযান চালিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। পলাতক অন্য আসামিদের বাড়িতেও অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ  হত্যা মামলার পলাতক আসামি সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিনভাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গত সোমবার আদালত থেকে ক্রোক পরোয়ানা জারি করা হয়।  টাঙ্গাইলের সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়ার এ ক্রোকাদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফীজুর রহমান জানান, ইতিপুর্বে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে হত্যার অভিযোগে টাঙ্গাইল- ৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্র  লীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা ও পরিবহন ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে  চার্জশীঠ জমা দেয়ার পর আদালত থেকে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়। তাদের এখনো পর্যন্ত  গ্রেফতার করা যায়নি। এ অবস্থায় পলাতক আসামীদের মালামাল ক্রোকের আদেশ চেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি মাহফীজুর রহমানের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আদালত থেকে পলাতক আসামীদের মালামাল  ক্রোকের আদেশ দেয়া হয়।

গত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজ পাড়ায় নিজ বাস ভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। এ হত্যাকাণ্ডে ব্যাপারে নিহত ফারুক আহমদের স্ত্রী নাহার আহমদ বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top