সকল মেনু

‘রোয়ানু’ এর প্রভাবে চাঁদপুরে আটকা পড়েছে কয়েক শতাধিক যাত্রী

03eca728-d174-402b-906b-cbd965becb72 নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ এর প্রভাবের কারণে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর উপকূলীয় এলাকা এখন ঢেউ এ উত্তাল। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার ৪ উপজলোর প্রায় ৪০ চরাঞ্চলের মানুষদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে রাখা হয়েছে। নৌ-চলাচল বন্ধ থাকার কারণে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল ও হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় প্রায় সহ¯্রাধিক যাত্রী আটকা পড়েছে।
শনিবার দুপুর ৩টায় মেঘনা নদীর মোহনা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে মেঘনা নদীর উত্তাল ঢেউ। নৌ-টার্মিনাল এলাকার আশপাশে বহু সংখ্যক লাইটার জাহাজ নিরাপদে রাখা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শহর ও গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকেই চাঁদপুর থেকে সকল নৌ-চলাচল বন্ধ। মেঘনা নদী এখন উত্তাল। নৌ-টার্মিনালের আশাপাশে শত শত লাইটার জাহাজ আশ্রয় নিয়েছে। তবে চট্টগ্রাম ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় ৫শ’ লঞ্চ যাত্রী লঞ্চঘাট এলাকার আশপাশের বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জন্য চাঁদপুর পৌরসভা থেকে এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহআলম বেপারী খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম. সরওয়ার কামাল বলেন, হাইমচর উপজেলার হাইমচর ইউনিয়নে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চাইতে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে এই এলাকার কিছু ঘর বাড়িতে পানি উঠেছে। তবে এই পানি স্থায়ীভাবে থাকবে না। এছাড়া ইশানাবালাসহ আশপাশের এলাকায় কিছু ঘর বাড়ির চাল (টিন) বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উদয়ন দেওয়ান জানান, সদর উপজেলার হানাচর ইউনিয়নের চাঁদপুর শরীয়তপুর ফেরিঘাটে ১১টি যাত্রীবাহী বাস আটকা পড়েছে। এ সব বাস যাত্রীদেরকে ইউপি চেয়ারম্যান আঃ ছাত্তার রাঢ়ী পাশ্ববর্তী চালতাতলী স্কুলে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় শুক্রবার থেকে জেলা প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি রেখেছে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল, মতলব উত্তর লঞ্চঘাট ও হরিণা ফেরিঘাটে যে সব যাত্রী আটকা পড়েছে। তাদেরকে নিরাপদে রাখা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও সদর ও হাইমচর এলাকায় ১১হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি বলে এডিসি জানান। গত ২৪ ঘন্টায় চাঁদপুরে ১৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top