সকল মেনু

মনপুরায় ১ নবজাতকের মৃত্যু, শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত

88bdc183-3567-491d-9a97-bd6fdc092cba ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার মনপুরায় ঘূর্ণীঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে সামিয়া (৩ দিন) নামে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়। প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও ৫ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে ৫-৬ ফুট জোয়ারে পানি প্রবেশ করে। এতে অর্ধালক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে।
ঘূর্ণীঝড়ে নিহত নবজাতক সামিয়া ৩নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আর্দশ গ্রামের বাসিন্দা তসলিমের মেয়ে। রোয়ানুর খবর শুনে তসলিম-ছালমা পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আসছিলো। পথিমধ্যে প্রবল বাতাসে নবজাতক তাদের হাত থেকে পাশের পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার থেকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে প্রচন্ড ঠান্ডায় মৃত্যু হয়। নবজাতকের মৃত্যু হয় বলে জানান ইউপি সদস্য মোঃ সোহেল।

শনিবার বেলা ১২ টার পর থেকে ঘূর্ণীঝড় ‘রোয়ানু’ প্রভাব বৃদ্ধি পেয়ে প্রচন্ড বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি পড়তে ছিল। তখন হাজিরহাটে শহররক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে প্রায় ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানি প্রবাহিত হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মনপুরায় কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫টি ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়াও মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন বেড়ীবাঁধহীন কলাতলীর চর ও চরনিজাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এই সমস্ত চরাঞ্চলে আশ্রয়ন কেন্দ্র না থাকায় মানুষ উঁচু মাটির কিল্লা ও ঘরের চালে আশ্রয় নেয়।

বিচ্ছিন্ন বেড়ীবাঁধহীন কলাতলীর চরে কারিতাসের মাঠ কর্মী লুইস সরকার জানান, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। ঘরের চালে আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। সেখানে ৪০ থেকে ৪৫টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

বিচ্ছিন্ন চরনিজামে রেডক্রিসেন্টের মাঠকর্মী মাকছুদ জানান, ৬-৭ ফুট জোয়ারের পানিতে চরনিজাম তলিয়ে গেছে। আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় মানুষ দলবেঁধে মাটির কিল্লায় আশ্রয় নিচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, নাইবেয়হাট, সোনারচর বেড়ীবাঁধ, মনপুরা ইউনিয়নের রামনেওয়াজ, কাউয়ারটেক, আন্দ্রিরপাড় বেড়ীবাঁধ, উত্তরসাকুচিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম বেড়ীবাঁধ, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম বেড়ীবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। এই সমস্ত বিধ্বস্ত বেড়ীবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে অর্ধালক্ষাধিক মানুষ। এছাড়াও দাসেরহাট এলাকায় দুইটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়কটি প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। এতে উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে দুইটি ইউনিয়ন। এছাড়াও দাসেরহাট এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার এলজিইডির পাকা সড়ক জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়।
দূর্গত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগ সভাপতি মিসেস শেলিনা আকতার চৌধুরী বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top