সকল মেনু

শেকৃবি উপ-উপাচার্যের নীতিবিরোধী কার্যকলাপ

Rasidur

হটনিউজ২৪বিডি স্পেশাল : রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শহিদুর রশিদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল রাখার অভিযোগ উঠেছে। ভিতরে ভিতরে এ নিয়ে কানা-ঘুষা করলেও প্রকাশ্যে তেমন কেউ কিছু বলতে সাহস করছে না।

তার কারণ, উপ-উপাচার্য তাঁর স্ত্রী প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিবের প্রভাব দেখিয়ে থাকেন বলে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে চায় না।

উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। চাকরি জীবনে এসে সুবিধা পাওয়ার আশায় আওয়ামী লীগ বা আওয়ামীপন্থীদের সাথে তিঁনি সখ্যতা গড়ে তুলেন।

কিন্তু তাঁর অতীত কর্মকাণ্ডে দেখা গেছে, তিনি আওয়ামীপন্থীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিতে সর্বধা ব্যস্থ থাকতেন এবং বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী নীল দলের শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্য হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তার কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন।

এ ব্যাপারে উপ-উপাচার্য ড. শহিদুর রশিদের টেলিটক নাম্বারে কয়েকবার রিং করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বিস্তারিত জানা যায়নি।

অভিযোগ উঠে, প্রফেসর ড. মোঃ শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ায় ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ করা শেকৃবিতে চাকরীরত শিক্ষকদেরকে নিয়ে আলাদা গ্রুপ সৃষ্টি করে আওয়ামীপন্থী নীল দলের শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা নেতিবাচক অবস্থান ও শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ বিঘ্নিত হয়

বর্তমান উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শহিদুর রশিদ ভূঁইয়া বিএনপি সরকারের আমলে তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. এম এ ফারুকের সাথে আতাঁত করে সাউরেস এর পরিচালক এবং সিন্ডিকেট মেম্বার হন। তাঁর নেতৃত্বে ২০০১ সালে ২৪ জন শিক্ষকের পদোন্নতি বন্ধ হয়ে যায়।এসোসিয়েট প্রফেসরের পোস্ট না থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রভাব খাটিয়ে ডিপার্টমেন্ট এ পদোন্নতি নিয়েছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, উপ-উপাচার্য ফেসর ড. মোঃ শহিদুর রশিদ স্যার স্বাধীনতার পক্ষের দাবিদার হলেও স্বাধীনতার পক্ষে কোন মিছিল, মিটিং কিংবা মানব বন্ধনে অংশগ্রহণ করেনা এবং অন্যরা করতে চাইলে তাতে বিভিন্ন ভাবে বাধা সৃষ্টি করতে সহায়তা করে থাকেন।

তত্তাবধায়ক সরকারের শাসন আমলে অবৈধ ভাবে ছাত্র ভর্তি করিয়েছেন বলেও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শহিদুর রশিদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে তথ্য পাওয়া যায়।

২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্-ই আলমের সাথে আতাঁত করে নিজ ছেলেকে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও খামার বিভাগে তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে নিয়োগ এবং বর্তমান ভিসির আমলেও নিজ ভাগিনীকে অবৈধভাবে চাকরী দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাদাত উল্লাহ’র সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিঁনি বলেন, ‘অভিযোগ কতটুকু সত্য তা আপনারা খতিয়ে দেখুন। এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নেই। আপনারা খোজ-খবর নিলেই সত্য-মিথ্যা জানতে পারবেন’।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top