সকল মেনু

পার্বতীপুরে ঘূর্ণি ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি : ১৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন

cc56c8dd-01e4-4ddf-9a4d-e30ca2c86947রাইসুল ইসলাম, পার্বতীপুর,দিনাজপুর:  দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ঘূর্ণি ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে পুরো উপজেলা ১৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত আধা ঘন্টা স্থায়ী এ ঘূর্ণি ঝড়ে অসংখ্য গাছপালা, কাঁচা ঘরবাড়ী ভেঙ্গে পড়ে, টিনের চালা উড়ে যায়, ইরি-বোরো ধান ও ভূট্টা ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। এছাড়াও আম ও লিচুর ক্ষতি হয় ৫০ শতাংশের বেশী।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে পার্বতীপুর শহর ও উপজেলার ১০ ইউনিয়নের উপর দিয়ে ঘূর্ণি ঝড় বয়ে যায়। এসময় টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, অটোচার্জার ভ্যান বিকল হওয়ার খবর পাওয়া যায় সব জায়গা থেকে।
পার্বতীপুর আবাসিক প্রকৌশলী (পিডিবি) মোঃ মোস্তাকিম জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়। আজ বুধবার (১৮-৫-১৬) দুপুর ১টায় পার্বতীপুর শহরের নতুন বাজারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে শহরের পুরাতন বাজারসহ অন্যত্র এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাকিম আরো বলেন, অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় ও বিদ্যুতের তার বিভিন্ন স্থানে ছিঁড়ে পড়ায় পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে সঞ্চালন লাইন ঠিক হওয়ার পরে পুনরায় সবখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলে তিনি উলে¬খ করেন।
উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের চাকলাবাজার গ্রামের ঘটক মকবুল হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ীর সবাই খাওয়া দাওয়া সেরে শোবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক এসময় শুরু হয় ঘূর্ণি ঝড়। একই গ্রামের কৃষক নুরুল আমিন জানান, ঘূর্ণি ঝড়ে তার ৭/৮ টি বিভিন্ন জাতের গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। এর মধ্যে আকাশমনি ও মেহগনির গাছও রয়েছে।
এদিকে, ঝড়ে পড়া আম ও লিচু শহরের নতুন বাজারে বিক্রি করতে আসা চাষীদের কাছে জানা যায়, ঘূর্ণি ঝড়ে আম ও লিচুর সমূহ ক্ষতি হয়েছে তাদের। বাজারে আজ বুধবার সকাল থেকে প্রতি শ’ লিচু ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা আমের কেজি ৫ থেকে ১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। কাঁচা কাঠালও বাজারে বিক্রি করতে দেখা যায় এসময়। চন্ডিপুর ইউনিয়নের চৈতাপাড়া গ্রামের কাঠাল বিক্রেতা আঃ রশিদ বলেন, তার তিনটি গাছের দুটি ঘূর্ণি ঝড়ে উপড়ে পড়েছে। ২০/২৫ দিন পরে তার দুটি গাছের কাঠাল কমপক্ষে তিন হাজার টাকায় কিক্রি করতে পারতেন বলে তিনি উলে¬খ করেন।
এব্যাপারে পার্বতীপুর কৃষি কর্মকর্তা আবু ফাত্তাহ মোঃ রওশন কবির বলেন, কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন পর্যন্ত নির্নয় করা সম্ভব হয়নি। তবে আম, লিচু ও ভূট্টার ব্যাপত ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top