নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১৬ মে : মেয়রের প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই। পরিবহন সমস্যা, জননিরাপত্তা এবং নগরকে নারীবান্ধব করতে মেয়র ও কাউন্সিলারদের আর একটু ক্ষমতা দিতে হবে বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।

রোববার সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ‘শক্তিশালী, কার্যকর সিটি কর্পোরেশন ও নিরাপদ, নারীবান্ধব ঢাকা মহানগর’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি করেন আনিসুল হক।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধের কথা উল্লেখ করে মেয়র আরও বলেন, এতে দুইবারে ২৯টি ও ৩৪টি দাবি ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে যার মধ্যে মেয়রের এখতিয়ারে মধ্যে আছে তিন থেকে চারটি। তবে এই সমস্যা সমাধানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এর জন্য দায়ী নাহলেও নীতিগতভাবে তিনি দায়ী বলে মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী। স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির আন্দোলন সম্পাদক কাজী সুফিয়া আখ্তার।

আনিসুল হক আরও বলেন, বাংলাদেশে মানুষের ঘনত্ব অনেক বেশি। এই শহর ভালো খারাপ মিলে এক থেকে সোয়া কোটি লোকের খাদ্য সংস্থান করে থাকে। তিনি বলেন টয়লেটের জন্য কাজ করা হচ্ছে কিন্তু টয়লেটের জায়গা নেই। ৮৬টি পেট্রোল পাম্পের সাথে বসে তাদের কাছে জায়গা চাওয়া হয়েছে কিন্তু তারা দিচ্ছে না।
মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে শক্তিশালী সিসি টিভি বসানো হবে পাশাপাশি এলইডি লাইটের ব্যবস্থা করা হবে যার ফলাফল হিসেবে যৌন হয়রানী অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তিন বছরে ঢাকা অনেক সবুজ হয়ে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন নারী কাউন্সিলরদের ক্ষমতায়ন হয়েছে এখন প্রয়োজন সমতায়নের। আইন আছে কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে না। তিনি বলেন, নির্বাচিত নারী কাউন্সিলরকে তিনগুণ জনগোষ্ঠীর কাছে যেতে হয় কিন্তু তিনগুণ ক্ষমতা তাদের আছে কিনা সেই প্রশ্ন থেকে যায়। পুরো বাংলাদেশে নারীদের জন্য মাত্র ১৭ টি বাস আছে যা নারীদের জন্য সম্পূর্ণরূপে অপ্রতুল।

মুক্ত আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শাহনাজ পারভিন মিতু, আজাদ সুরাইয়া ডেইজি, হাবিবুর রহমান মিজান, শামিমা রহমান, মাসুদা আক্তার, নাজমুন নাহার হেলেন, রাশেদা আক্তার ঝর্ণা, ফোরকান, দেওয়ান আব্দুল মান্নান। তারা গেজেটে যে দায়িত্বগুলো কমিয়ে দেয়া হয়েছে তা থেকে বের হয়ে পুরুষের সমান ক্ষমতা, কাজের ক্ষেত্রে সমান মর্যাদা,পরিশ্রম অনুযায়ী মূল্যায়ন, কাজের সুযোগ বৃদ্ধির দাবি জানান।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর