নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১০ মে :  হবিগঞ্জ জেলার পাহাড়ি এলাকায় পতিত জমিতে কলা চাষে সফলতা  আসছে। এতে করে দিন দিন পাহাড়ে কলা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবচেয়ে আকর্ষণের বিষয় এখানে উৎপাদিত কলা বিষমুক্ত। এসব কলা গাছে পাকা শুরু হলেই বিক্রি করা হয়ে থাকে। তাই কেমিক্যাল মেশানোর প্রয়োজন পড়ে না।

এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলার বাহুবল, নবীগঞ্জ, চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় উপজাতিসহ নানা শ্রেণি-পেশার বসবাসকারীরা পাহাড়ি পতিত জমিতে দেশীয় কলার চাষ করছেন। এসব কলা গাছে পাকা শুরু হলে তারা বিক্রি করেন। কেমিক্যালমুক্ত ও গাছপাকা হওয়ায় এসব কলার চাহিদাও প্রচুর। ফলে এখন পাহাড়ে প্রতিযোগিতামূলক কলা চাষ শুরু হয়েছে।

কলাচাষি সুমন দেববর্মার ঘরের পাশেই দেশি জাতের অর্ধশতাধিক কলাগাছ। তিনি জানান, একদিকে গাছে সার প্রয়োগের দরকার হচ্ছে না। আবার অন্যদিকে বিষমুক্ত হওয়ায় কলার মূল্যও ভালো। বারো মাসই কলা হচ্ছে।

কাজল মিয়া নামে একজন কলা বিক্রেতা বলেন, ‘বাজারে কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে কলা বিক্রি হচ্ছে, ক্রেতাদের কাছে তাই পাহাড়ি বিষমুক্ত পাকা কলার কদর।’

ক্রেতা সাহেব আলী বলেন, ‘সব ফলেই কমবেশি বিষযুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে যদি বিষমুক্ত কলা পাওয়া যায়, কিনব না কেন? তাই পাইকারের কাছ থেকে এক কান্দা (কাঁদি) কলা নিলাম বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য।’

দেখা গেছে, পাহাড়ি টিলায় টিলায় কলা চাষ হচ্ছে। আবার পাহাড়ের লেবু বাগানেও দেশি কলার চাষ করা শুরু হয়েছে। এতে করে তারা লেবুর সঙ্গে কলাও বিক্রি করে অধিক লাভবান হচ্ছেন।

লেবুচাষি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাহুবলের পাহাড়ে প্রায় ৫০ একর জমির মধ্যে লেবু চাষ করছি। আর লেবু গাছের ফাঁকে ফাঁকে কলা গাছ লাগিয়ে দারুণ ফলন পাচ্ছি। লেবুর মতো বারো মাস কলাও বিক্রি করতে পারছি।’

সাইদুলের মতো আরো অনেকেই লেবুবাগানে কলা চাষ শুরু করেছেন। তারাও ভালো ফলন পাচ্ছেন।

হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহ আলম বলেন, পাহাড়ে কলার বিষমুক্ত ফলন হচ্ছে, এসব কলাগাছে তেমন একটা সারও দিতে হয় না। বলা যায় বিনা খরচে বিষমুক্ত কলা বিক্রি করে পাহাড়িরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর