সকল মেনু

যশোরের মিশনারীতে ডাকাতি: গনপিটুনিতে ৪ ডাকাত হতাহত

d1677fe1-b444-47f6-b589-7b7912107aca শিমুলিয়া থেকে ফিরে যশোর প্রতিনিধি: গত মধ্য রাতে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়ায় এ অঞ্চলের সবথেকে বড় খ্রীষ্ঠান মিশনারীতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা সবমিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়, যার মধ্যে নগদ ১ লাখ ৮৭ হাজার ছিল। ডাকাতরা পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয় জনতা চারজনকে ধরে, এ সময় গনপিটুনিতে লালু ডাকাত ঘটনাস্থলে নিহত এবং অপর তিন ডাকাত মনিরুল, আমিনুল এবং সুজন আহত হয়। নিহত লালু ডাকাত’র বাড়ি মেহেরপুর জেলায়।
আহত ডাকাতদের যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছে ফরিদপুরের চরবিষ্ণুপুর খাজুরতলার হাফিজুর বিশ্বাসের ছেলে মনিরুল (৩২) ও একই এলাকার ইংরেজ আলীর ছেলে আমিনুল (৩০) এবং মাদারীপুর জেলার চরকামারকান্দি এলাকার সুজন।
মিশনারীর প্রধান পুরোহিত ফাদার আনন্দ সেবাস্তিয়ান জানান, ডাকাতরা সংখ্যায় ৩০-৩৫ জন ছিল। এদের মধ্যে ৮-৯ জন ছিল সম্পূর্ণ উলঙ্গ। তারা মিশনারীর আশেপাশে অবস্থান করছিল। রাত সোয়া দুইটার দিকে দুজন নৈশ প্রহরী এবং ছাত্র হোস্টেলে থাকা ১১ শিশুকে বেঁধে রাজ গোলদার নামে আরেক শিশুকে সঙ্গে নিয়ে এসে ফাদারদের হাউজ চিনে আসে। এরপর ফাদার জন গোপালের দরজা ভেঙে ডাকাতরা ভেতরে ঢোকে। বিষয়টি ফাদার জন গোপাল টের পেয়ে ফাদার সেবাস্তিয়ানকে জানান। ডাকাতরা ফাদারদের চারটি ঘর তছনছ করে। ঘর ভাঙাকালে ফাদার সেবাস্তিয়ান মোবাইলফোনে পুলিশ ও স্থানীয়দের জানান। তিনি জানান, এরপর ডাকাতদের ১১জন তার ঘরে ঢোকে এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল উলঙ্গ।তিনি জানান, ডাকাতরা সবমিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় যার মধ্যে নগদ ১ লাখ ৮৭ হাজার ছিল।
তিনি জানান, তাদের সকলের হাতে ধারাল অস্ত্র ছিল। তার ঘরে লুণ্ঠন শেষে তারা সিস্টার এবং শিক্ষার্থীদের নিবাসের দিকে যায়। সেখানে গিয়ে তারা উলঙ্গ অবস্থায় গালিগালাজ এবং নৃত্য করতে থাকে। ফাদার সেবাস্তিয়ান জানান, এরই মধ্যে পুলিশ এসে পড়লে তারা দল বেঁধে সবাই পালিয়ে যায়। গীর্জার গেট বন্ধ থাকায় পুলিশের ভেতরে ঢুকতে কিছুটা দেরি হয়।
তিনি জানান, ভোর ৫ টার দিকে নাভারণের আমিনী গুণনগর এলাকায় অপরিচিত কিছু লোককে যেতে দেখে স্থানীয়রা ধাওয়া করে। অন্যরা পালিয়ে গেলেও স্থানীয় জনতা চারজনকে ধরে পিটুনি দেয়। পিটুনিতে লালু ঘটনাস্থলে নিহত এবং অপর তিনজন মনিরুল, আমিনুল এবং সুজন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের কাছ থেকে নগদ ৪২ হাজার ২২০ টাকা, একটি দা ও কুড়াল উদ্ধার হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আহত তিন ডাকাতকে পুলিশ আটক করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top