সকল মেনু

‘আফরোজা বুলবুল স্বপ্নজয়ী মা’ সম্মাননা পেলেন

654dafa6-26c1-48f6-8f96-b56d7f3410faএস,আই মল্লিক, ঝিনাইদহ: ‘স্বপ্নজয়ী মা’ হিসাবে সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার স্কুল শিক্ষিকা আফরোজা বুলবুল। এ বছরই প্রথম বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে ‘স্বপ্নজয়ী মা’ শিরোনামের এই সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করে। মা হিসাবে সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার অবদান হিসাবে এই সম্মাননা প্রদান করে মা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এবার সারাদেশ থেকে ১৫ জন নারীকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। রোববার দুপুরে বিশ্ব মা দিবসে ঢাকার স্কাটন রোড়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নিজস্ব ভবণের ৪র্থ তলার হলরুমে এই সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
‘স্বপ্নজয়ী মা’ আফরোজা বুলবুল কালীগঞ্জ শহরের ঔতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সলিমুন্নেছা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘স্বপ্নজয়ী মা’ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রিী মেহের আফরোজ চুমকি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব নাছিমা বেগম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাহিন আহমেদ চৌধরী।
উল্লেখ্য, আফরোজা বুলবুল কালীগঞ্জ শহরের থানাপাড়ার মৃত ইমদাদুল হক বাবলুর সহধর্মীনি। আফরোজা বুলবুল তিন কন্যা সন্তানের জননী। এরমধ্যে বড় মেয়ে তানিয়া আফরোজ তিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে ২০০৬ সালে অনার্স ও ২০০৭ মাস্টার্স প্রথম শ্রেণিতে পাশ করেন। বর্তমানে তিথি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়ে ফারিয়া আফরোজ দ্যূতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরেষ্ট্রি বিষয়ে ২০১০ সালে অনার্স ও ২০১১ সালে মাস্টার্স প্রথম শ্রেনিতে পাশ করেন। বর্তমানে দ্যূতি বাংলাদেশ পুলিশে ঢাকা এসবি বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ছোট মেয়ে মারিয়া আফরোজ আঁকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিষয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্বপ্নজয়ী মা আফরোজা বুলবুল বলেন, বাংলাদেশে ১৫ স্বপ্নজয়ী মায়ের মধ্যে আমি নির্বাচিত হওয়ায় আমি গর্বিত। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার এবারই প্রথম এই স্বপ্নজয়ী মা সম্মাননা প্রদান করেছে যেখানে আমি আছি এটা আমার জীবনের বিশাল বড় একটা পাওয়া বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন, আমার কোন ছেলে সন্তান নেই। আমার তিন মেয়ে কিন্তু এজন্য আমি কখনোই মন খারাপ করিনি। আমার স্বপ্ন ছিল মেয়েদের সুশিক্ষাই শিক্ষিত করা। আমার আজ সত্যি সত্যিই মনে হচ্ছে আমি সফল হয়েছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শরিফা খাতুন বলেন, আমি আমার অধিপ্তরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারন মায়েদের যে সম্মান তা এই ‘স্বপ্নজয়ী মা’ সম্মাননার মধ্যে দিয়ে কিছুটা হলেও দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি মনে করি এই সম্মাননার মাধ্যমে দেশের মা এবং মেয়েরা আরো বেশি এগিয়ে যাওয়ার পথে অনুপ্রাণিত হবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top