দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)প্রতিনিধি: জেলার দুর্গাপুরের শিবগজ্ঞ বাজার হইতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ধোবাউড়া হয়ে সদ্যবিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ,রাজধানী ঢ়াকা সহ বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে সংযোগের একমাত্র বাইপাস সড়ক দিয়ে নিয়মনীতি না মেনে অধিক বোঝাইকৃত সোমেশ্বরী নদীর বালি,পাথর,সাদামাটি বহনকারী ট্রাক, লড়ীর কবল থেকে উক্ত বাইপাশ সড়ককে রক্ষার জন্য জনপ্রতিনিধি সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী। এই ট্রাকগুলো এ যাবৎ কাল দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ দুইলেন বিশিষ্ট মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করত বর্তমানে এ রাস্তাতো আর রাস্তা নেই হয়ে গেছে হালচাষ করার ক্ষেত।
বর্তমানে এলাকাবাসী জরুরী রোগী ও জরুরী দৈনন্দিন কাজের চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যাটারী চালিত অটো, সিএনজি ও বিকল্প যানবাহন দিয়ে একলেন বিশিষ্ট শিবগজ্ঞ বাজার হইতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ধোবাউড়া হয়ে সদ্যবিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ,রাজধানী ঢ়াকা সহ বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে সংযোগের একমাত্র বাইপাস সড়ক দিয়ে চলাচল করত । বিগত কিছুদিন যাবত দুর্গাপুর-শ্যামগজ্ঞ মহাসড়ক চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় সোমেশ্বরী নদীর বালি,পাথর,সাদামাটি বহনকারী শত শত ট্রাক, লড়ী উক্ত সড়ক দিয়ে চলাচল করায় এই সড়কটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে রাস্তার পাশ্ববর্তী গৌরীপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আব্দুল খালেক, আবুল কাশেম, ভেন্নাকান্দা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন, আয়নাল বিবি, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মোঃ মামুন মিয়া, মোঃ কামাল তালুকদার, দুবরাজপুর গ্রামের মোঃ নূরউল্লাহ, সনারকান্দা গ্রামের আব্দুর রশিদ জানান, রাস্তা টিকে না থাকলে এই অঞ্চলের কৃষকরা ধান বাজারে নিতে পারবে না, অন্যান্য উৎপাদিত শাক সবজিও বাজারে নিতে পারবে না,জরুরী রোগী ও জরুরী দৈনন্দিন কাজের চাহিদা মেটানোর জন্য রাজধানী ঢাকা সহ কোন জেলার সাথে সংযোগ রক্ষা করতে পারবে না। বিগত ২০১৩-২০১৪ ইং সালে তৎকালীন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এম,পি ও মোশতাক আহমেদ রুহী এম,পি সাহেবের অক্লান্ত চেষ্টায় এই রাস্তাটি হয়েছিল যার ফলে এর সুফল ভোগ করছে এলাকাবাসী।
বর্তমানে উপজেলার শিবগঞ্জ বাজার থেকে ধোবাউড়া উপজেলার রণসিংহপুর রাবারড্রাম ব্রীজ পর্যন্ত ৮কিঃমিঃ রাস্তা ১২টি ব্রীজের এ্যাপ্রোস সহ পুনঃ সংস্কার কাজ ২ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যায়ে শুরু হয়েছে ২মার্চ-২০১৬ইং তারিখে যা শেষ হবে ২মার্চ ২০১৭ইং। সরজমিনে রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, এই কাজটি মূলতঃ ‘‘নর্দান বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেড ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট’’ এর আওতায় ঠিকাদার বাসেদ প্রকৌশলী মেসার্স ভূইয়া এন্টারপ্রাইজ জয়েন্ট ভেঞ্চার এই কাজটি পায়। এই কাজটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ করছে ,অপরদিকে রাস্তার কাজ শুরু করতে না করতেই শত শত ট্রাক রাস্তায় ঢুকিয়ে দিয়ে সংস্কার কাজের বাঁধা তৈরী করছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোঃ রাসেল বলেন, প্রতিদিন শত শত ট্রাক চলাচল করায় আমাদের সংস্কার কাজের ব্যাঘাত ঘটছে এ ব্যাপারে আমি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ জানিয়েছি ।
এলজিইডি‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইছমত কিবরিয়া এর নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ,আমরা বিষয়টি অবহিত হয়েছি ইতিমধ্যে ট্রাফিক কাউন্ট করে প্রকল্প পরিচালক বরাবর লিখিত ভাবে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।