সকল মেনু

সবুজ কফি পানে মেদ কমে

৩লাইফস্টাইল ডেস্ক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৭ মে : সকালে জগিং ও বিকেলে নিয়ম করে জিমের কসরত। খাবার-দাবারে কড়াকড়ি। কিন্তু কিছুতেই মেদ কমছে না। এটা নিয়ে রাতের ঘুম হারাম।  না আর রাতের ঘুম হারাম হবে না। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, সবুজ কফি বিনের নির্যাস মেদ ঝরানোর পক্ষে খুবই কার্যকরী। এতে করে ব্যায়াম না করেও মেদকে বিদায় জানানো যায় সহজেই।

গ্রিন কফি বিন কী?
আমরা যে কফি পান করে থাকি তা শেঁকা বা রোস্টেড থাকে। তাই দেখতে কালচে খয়েরি রঙ্গের হয়। রোস্ট করার আগে কফি বিন দেখতে সবুজ রঙ্গের হয়। সেটাই আসলে গ্রিন কফি বিন।

প্রায় ১২ বছর ধরে ১৬ জন ব্যক্তির উপর কফি বিনের নির্যাস প্রয়োগ করে দেখা গেছে, তাদের ওজনের প্রায় ১১ শতাংশ কমেছে। শরীরে জমে থাকা মেদও প্রায় ১৬ শতাংশ ঝরে গেছে। এর জন্য তাদের তেমন কোনো কসরত করতে হয়নি।
শুধু ওজন কমাতেই নয়, নানা রকম রোগের হাত থেকেও সুরক্ষা দেবে এই নির্যাস।

গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন কফি বিনের নির্যাসে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামে একটি পদার্থ থাকে যা এই সব কাজ করে। কিন্তু রোস্ট করার পর কফির মধ্যে এই উপাদান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। তখন দিনে কাপের পর কাপ কফি খেলে কোনো কাজ হবে না।

কীভাবে কাজ করে এই ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড?
গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, এই অ্যাসিড মানবদেহের মেটাবলিজম প্রায় ৮০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। খাদ্যে গৃহীত অতর্কিত শর্করা রক্তের সঙ্গে না মিশিয়ে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ যারা রক্তে অতিরিক্ত শর্করা বা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের জন্যও গ্রিন কফি বিনের নির্যাস খুবই ভালো। লিভার ও পাকস্থলিতে জমে থাকা ফ্যাট তাড়াতেও এর জুরি মেলা ভার।
গবেষণায় দেখা গেছে, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড খুব ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই এটি সারাদিন শরীর চনমনে রাখতে সাহায্য করে। রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করতেও সহায়ক এটি।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, এত গুণের অধিকারী গ্রিন কফি বিনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top