সকল মেনু

স্বাধীনতা কাপে শেখ জামালকে হারিয়ে ফাইনালে আবাহনী

৪৫ক্রীড়া ডেস্ক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৪ মে : স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে শেখ জামালকে ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে আবাহনী লিমিটেড। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফা্নালে শেখ জামালকে পরাজিত করে ফাইনাল নিশ্চিত করে আকাশী-নীলরা।

প্রথমার্ধ গোলশূন্য হলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছে আবাহনী। গত মাসের ২৪ তারিখে সিঙ্গাপুর ট্যাম্পাইন্স রোভার্সকে ৩-২ গোলে হারানো জামালকে খুঁজে পাওয়া যায়নি এ ম্যাচে। ২০১০ সালে দেশের শীর্ষ ফুটবল আসরে পদার্পন করার পর ঘরোয়া ফুটবলে এটিই শেখ জামালের সবচেয়ে বড় হার। ২০১১ সালে আবাহনীর কাছেই ৫-৩ গোলে হেরেছিল জামাল।
খেলার ছয় মিনিটে আবহনীকে এগিয়ে দিতে পারতেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা। ইংলিশ মিডফিল্ডার লি টাকের মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো নিখুঁত থ্রু পাস নিয়ে জামালের ডিফেন্স ভেদ করেন তিনি। গোল করার মতো অবস্থানে ছিলেন সানডে। কিন্তু জামালের ডিফেন্ডাররা তাকে ঘিরে ফেলেন। বল নিয়ে বেশি দেরি করায় নিয়ন্ত্রণ হারান।

শেখ জামাল বেছে নেয় তাদের চিরাচরিত কাউন্টার-অ্যাটাক। ৩৬ মিনিটে অধিনায়ক ওয়েডসন এনসেলমে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং ডারবোর চিপ ধরতে এগিয়ে এসেছিলেন আবাহনী গোলরক্ষক সুলতান আহমেদ শাকিল। ফ্লাইট মিস করেন তিনি। বল পেয়ে যান ওয়েডসন। পেছন থেকে ওয়েডসনের পায়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বল আয়ত্বে নেন শাকিল। কেন প্রথমেই ফাঁকা পোস্টে শট নিলেন না, সে আক্ষেপ দেখা গেল ওয়েডসনের অভিব্যক্তিতে।

এর পরের মিনিটেই আবাহনীকে হতাশার সাগরে ডোবান সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড কামারা সাররা। ডান উইংয়ে খেলা জুয়েল রানা গতি দিয়ে টপকে গিয়েছিলেন তার মার্কারকে। সমান্তরাল রেখায় দৌড়াচ্ছিলেন কামারা। জুয়েল রানা স্কয়ার পাসে বল তার কাছে পৌঁছে দেন। কিন্তু বক্সের মাঝ থেকে কামারার দুর্বল প্লেসিং শট ঠাঁই নেয় জামাল গোলরক্ষক হিমেলের হাতে।

৪৯ মিনিটে এগিয়ে যায আবাহনী। সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড কামারাকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন ডিফেন্ডার কেষ্ট কুমার। রেফারি মিজানুর রহমান পেনাল্টি দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। পেনাল্টি স্পট থেকে জামাল গোলরক্ষক হিমেলকে বোকা বানান ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাক। এই লি টাকই্ দ্বিতীয় গোলটি করেন ৫০ মিনিটে। সানডে চিজোবার বাম প্রান্ত থেকে তৈরি করা বলে ঠাণ্ডা মাথায় বক্সের মাঝামাঝি থেকে নিচু প্লেসিং শটে গোলটি করেন এই ফরোয়ার্ড।

ধাক্কা কাটতে না কাটতেই তৃতীয় গোল হজম করে করে জামাল। ৬১ মিনটে আবারও কামারার দ্রতগতির থ্রু পাস থেকে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে জালে বল জড়ান সানডে। তাতেও রক্ষা হয়নি শেখ জামালের। ৬৪ মিনিটে সানডে চিজোবা আবারও মাঝমাঠ থেকে একা বল নিয়ে ঢুকে পড়েন জামালের রক্ষণে। মাটি কামড়ানো শটে করেন চতুর্থ গোলটি । ৮২ মিনিটে জুয়েল রানার ক্রসে হেডে পঞ্চম ও ৮৩ মিনিটে বাঁকানো পাল্লার শটে শেখ জামালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন চিজোবা।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top