সকল মেনু

খাল খননে ভাগ্য খুলেছে নলটোনাবাসীর

images (6)মোঃ সাইফুল ইসলাম মিরাজ, বরগুনা:চারটি খাল ভাগ্য খুলে দিয়েছে বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের মানুষের। সঠিক সময়ে খাল চারটি পূণ:খননের ফলে কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্যের আশা করছেন এলাকাবাসী। এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে আরও দু’টি খাল পূণ:খননের দাবী জানিয়েছে তারা।
নিশানবাড়ীয়া গাজী মাহমুদ পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অংশগ্রহনমুলক ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ সেক্টর প্রকল্পের আওতায় গত অর্থবছরে নলটোনা ইউনিয়নে ছয়টি খাল পূণ:খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরমধ্যে গত অর্থবছরে চারটি খাল খনন করা হলেও বাকী দু’টি খাল খনন করা সম্ভব হয়নি। খালগুলো খননের ফলে ওই এলাকায় শূকনো মৌসুমে পানি অভাব দুর হয়েছে এবং বর্ষা মৌসুমে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন হওয়ায় এ বছর প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা সম্ভব হয়েছে। অপরদিকে, বাকী খাল দু’টি খনন না করায় এলাকার একটি অংশ সুবিধা বঞ্চিত রয়ে গেছে।
নিশানবাড়ীয়া গ্রামের সবুজ খান, গাজী মাহমুদ গ্রামের নাসির উদ্দিন ও গর্জনবুনিয়া গ্রামের আলী হোসেন জানান, আগে এ এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা থাকার কারনে চাষাবাদ করা সম্ভব হত না। খাল চারটি খননের পর জলাবদ্ধতা দুর হয়েছে। এবছর তারা ভাল ফলনের আশা করছেন।এ বিষয়ে নলটোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে.এম সফিকুজ্জামান মাহফুজ বলেন, খাল চারটি পূণ:খননের ফলে এলাকার দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ দুর হয়েছে এবং কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। সিডরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে যেখানে তিন মাসেরও বেশী সময় লেগেছে, সেখানে মহাসেন ও মহাসেন পরবর্তী অতি বৃষ্টির কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা মাত্র তিন দিনের মধ্যে নিরসন হয়েছে। তিনি ওই প্রকল্পের আওতায় এলাকার আরও কয়েকটি খান পূণ:খননের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন।জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশীদ বলেন, খালগুলো পূণ:খননের কারনে ওই এলাকায় ভাল ফলনের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। বর্তমানে নলটোনায় আমনের বেশ ভাল চাষ হয়েছে। পাশাপাশি রবি ফসলেরও ভাল ফলন হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top