সকল মেনু

তত্ত্বাবধায়কে আসুন দম্ভ ছেড়ে – ফখরুল

images (4)জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, হটনিউজ টোয়েন্টিফোর বিডি.কম:গত পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হারের কথা মাথায় রেখে সরকারকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “দয়া করে দম্ভ, অহংকার ও একগুয়েমী ছেড়ে দিয়ে জনগণের নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সংবিধানে তা সংযোজন করুন। ইতোমধ্যে জনগণ পাঁচ সিটি করপোরেশনে এই দাবির পক্ষে রায় দিয়ে দিয়েছে।’’আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাও প্রত্যাখান করেছেন ফখরুল।সোমবার লন্ডনে বৃটিশ পার্লামেন্টের কয়েক জন এমপির সঙ্গে এক প্রাতরাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুক্তরাজ্যে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেইভাবেই আগামী সংসদীয় নির্বাচন হবে।’’এর প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘লন্ডনে বসে গণতন্ত্রের এই কথা বলা যায়। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে অনাস্থা ও অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে, এখানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। অন্য কোনো পথে নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।’’ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টারের (এনআরসি) উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘তারেক রহমান ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।সমাবেশের পর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের ওপর একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল। এই প্রদর্শনী বুধবারও চলবে।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী টিউলিপের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাষ্ট্রীয় খরচে ৪২/৪৩ জন সফরসঙ্গী নিয়ে লন্ডন গেছেন। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি একই সুরে কথা বলছেন। তাকে বলব, এখনো সময় আছে, জনগণের মন ও চোখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন।’’তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘‘ লন্ডনে কি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়? সেখানে ইলিয়াস আলীর মতো তরুণ সম্ভাবনাময় নেতা, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামসহ ৬১ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মী গুম হয়ে যায় না। লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষকে একটি জায়গায় নিয়ে এসে হত্যা করা হয় না। এসব ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে।’’গাজীপুরসহ পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হতে সরকার ‘চক্রান্ত’ করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মুখপাত্র।‘‘ শত চক্রান্ত ও চেষ্টা করেও ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয় তারা ঠেকাতে পারেনি।’’

মঙ্গলবার প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ফখরুল বলেন, ‘‘ দুর্নীতির এই কথা নতুন কিছু নয়। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুর্নীতি ব্যাপকতা লাভ করেছে। এটি এখন ক্রনিক ডিজিজ এর মতো সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।’’টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক দল, পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থা বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত।অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তালুকদার মুনীরুজ্জামান, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুব দলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আয়োজক সংগঠনের মাহবুবুর রহমান, আলোকচিত্রী বাবুল তালুকদার, আরিফুজ্জামান মামুন আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top