সকল মেনু

নৌযান ধর্মঘট, খুলনায় আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা

৪৮নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৩ এপ্রিল : অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘটের কারণে খুলনায় সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মত নগরীর বিআইডব্লিউটিএ, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ঘাট এবং রুজভেল্ট জেটিতে অবস্থানরত কোনো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা হয়নি। এ ছাড়া খুলনা লঞ্চঘাট থেকে কোন নৌযান ছেড়ে যায়নি বা আসেনি। এমনকি মংলা বন্দর থেকে যশোরের নওয়াপাড়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান বন্ধ রয়েছে। ফলে এসব ঘাটে ছোট-বড় দু’ সহস্রাধিক নৌযান নোঙ্গর ফেলে অবস্থান করছে পণ্য ওঠানামার জন্য।

এদিকে, নৌযান ধর্মঘটের কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন খুলনা, নওয়াপাড়া ও মংলা বন্দরের আমদানি-রফতানি কারকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা ও যশোরের নওয়াপাড়ার কার্গো বার্জ থেকে পণ্য নেয়ার জন্য শত শত ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকলেও নৌযান শ্রমিকরা কাজ না করায় শিল্প নগরী খুলনা ও মংলা বন্দরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ধর্মঘটের ফলে মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য বন্দরের জেটিতে আনা-নেয়া এবং বন্দর থেকে নদী পথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পরিবহন বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে মংলা বন্দর থেকে সারাদেশে প্রধানত নদী পথে পণ্য পরিবহনের কারণে ধর্মঘটে বন্দরের কার্যক্রম  স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, নৌপথে চুরি-ডাকাতি বন্ধ ও নদী খননসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ের জন্য গত বুধবার মধ্যরাত থেকে নৌযানের (কার্গো, কোস্টার, বার্জ) শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের কাজ বন্ধ রেখে  ধর্মঘট পালন করছেন। তিনি জানান, খুলনা ও মংলায় সর্বাত্মকভাবে ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। ধর্মঘট শুরু হওয়ায় শিল্পনগরী খুলনা ও মংলা বন্দরে অবস্থানরত সব ধরনের দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্যবোঝাই-খালাস ও পরিবহন কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন খুলনা, নওয়াপাড়া ও মংলা বন্দরের আমদানি-রফতানি কারকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাহারুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা বর্তমানে ৪ হাজার ১শ’ টাকা বেতন পায়। যা দিয়ে সংসার চলে না। যে কারণে প্রত্যেক নৌ শ্রমিককে নিয়োগপত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান, শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সর্বনিম্ন মজুরি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ, কর্মস্থলে আহত  শ্রমিকের চিকিৎসা ব্যয় ও চিকিৎসাকালে বেতন পরিশোধের দাবি তোলা হয়েছে। ন্যায্য দাবি না মানা পর্যন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, নৌযান শ্রমিকরা শুক্রবার বিকালে আন্দোলনের সমর্থনে নগরীতে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে শুরু হয়ে শহীদ হাদিস পার্কে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top