সকল মেনু

জয়কে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনা: ৩ পুলিশ কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন

joy1461069861 মেহেদি হাসান নিয়াজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনা তদন্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তিন কর্মকর্তা।

এরা হলেন- গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রাজীব আল মাসুদ এবং সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত। তবে ঠিক কবে নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন তা এখনো ঠিক হয়নি।

ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে উপ-কমিশনারের কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার জন্য আদালতের অনুমোদন প্রয়োজন রয়েছে। তাই আদালতে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে। তবে কবে নাগাদ আবেদন করা হবে তা তিনি বলেননি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, জয় হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যাদের বিচার হয়েছে, তারা ছাড়াও আরো তিনজন বাংলাদেশি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন হলেন রিজভীর বন্ধু মিল্টন। মিল্টন যুক্তরাষ্ট বিএনপির নেতা। আর দেশে বাস করা দুইজন হলেন- দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান।

এরই মধ্যে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে শ্যোন অ্যারেস্ট ও রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত আগামী ২৫ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

তিনি বলেন, শফিক রেহমান এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। মাহমুদুর রহমানসহ কয়েকজন বাংলাদেশি মিলে এই ষড়যন্ত্রের ফন্দি আঁকেন। এ জন্য শফিক রেহমান আমেরিকায় গিয়ে এফবিআই’র দুইজন কর্মকর্তার সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এই মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র মামলার তদন্ত সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের কাছে আসে। এতে শফিক রেহমানের সরাসরি সম্পৃক্ততার তথ্য প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।

ঘটনার প্রথম দিকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জয়কে অপহরণের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র হয়। জাসাস নেতা মামুনের ছেলে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী রিজভী আহমেদ, এফবিআইয়ের প্রাক্তন কর্মকর্তা রবার্ট লাস্টিক ও বর্তমান কর্মকর্তা জোহান্স থ্যালারের যোগসাজশে এফবিআই-এ রক্ষিত জয় সম্পর্কে তথ্য বের করে আনে। এফবিআই তদন্ত করলে বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে এফবিআই কর্মকর্তা থ্যালারের ৪২ মাস ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রিজভী আহমেদের আড়াই বছরের জেল হয়। তারা এখনো যুক্তরাষ্ট্রে জেল খাটছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেন আরেক বিএনপি নেতা মিল্টন। তিনি বন্ধু রিজভীর সঙ্গে দেখা করেন এবং এফবিআই থেকে পাওয়া জয় সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে মাহমুদুর রহমানকে ফেডেক্স কুরিয়ারের মাধ্যমে দেশে পাঠান।

আর ষড়যন্ত্রকারী জাসাস নেতা মামুন দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তাকেও গোয়েন্দারা ‍খুঁজছেন বলে জানা গেছে। মামুনকে ধরতে এফবিআই’র সহযোগিতা নেওয়া হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top