সকল মেনু

বর্ষবরণে ছায়ানটের মানবতার ডাক

Dhaka01460606132নিজস্ব প্রতিবেদক :  ভোরের আবছা অন্ধকার ভেদ করে সূর্য যখন লজ্জা রাঙা আলো নিয়ে জাগ্রত হলো, শুরু হলো নতুন একটি দিন। শুরু হলো বাংলা দিনপঞ্জিকায় ১৪২৩ সন বৃহস্পতিবার, নতুন বছরের পদচারণা। স্বাগত বাংলা নববর্ষ।

প্রতিবছরের মতো এবারও রমনার বটমূলে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে ছায়ানট। এবারের বর্ষবরণের বিষয় মানবতা। তাদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে তাই মানবতার মর্মবাণী ফুটে উঠেছে বারবার। আর মানবতার মর্মবাণীর পাশাপাশি বাঙালি জাতিকে নতুন করে জেগে ওঠার তাগিদও দেওয়া হয়েছে।

রমনার বটমূলে ভোর সোয়া ৬টার শুরু হয় ছায়ানটের ৪৯তম বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। একক গান, সম্মেলক গান, আবৃত্তি ও পাঠ দিয়ে সাজানো ছিল বর্ষবণের অনুষ্ঠান। আর এই গান, আবৃত্তি ও পাঠের আয়োজনে অংশ নিয়েছে প্রায় দেড় শ জন শিল্পী। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এদিকে প্রতিবছরের মতো এবারও রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিল নানা শ্রেণি- পেশার মানুষ। রঙিন পোশাক আর উচ্ছ্বাসিত মনে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পুরো অনুষ্ঠানে বুঁদ হয়ে ছিল সমাগতরা।

এবার ছায়ানটের শিল্পীরা মোট ৩৩টি গান গেয়েছেন। আর গুণ‌কে‌লি রাগ দি‌য়েই শুরু হ‌য় মূল অনুষ্ঠান। প‌রে ১৫ জ‌নের একক ও ১২টি দ্বৈত মিলিয়ে গান হয় মোট ৩৩টি। রাগ দি‌য়ে শুরু হ‌লেও জাতীয় সংগীত দি‌য়েই সমা‌প্তি হয় অনুষ্ঠান।

সারা দেশে খুন, ধর্ষণ, হত্যা, লুটপাট, মারামা‌রি নানা অপরা‌ধের প্র‌তিবা‌দে এবা‌র মানবতাকে স্লোগান হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলে ছায়ানটের শিক্ষক মাহমুদুল হাসান।

ছায়ানটের আরেক শিক্ষক মেহেদী ফরিদ বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে মানবতার বড় অভাব। হৃদয়ে মানবতা জাগাতে আমাদের এবারের আয়োজন।’

এদিকে রমনার এই অনুষ্ঠান ঘিরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নেওয়া হয়েছিল বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা। রমনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে করা হয় তল্লাশি। আশপাশে মোতায়েন ছিল বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।

আজ দিনভর নানা আয়োজন থাকছে বাঙালির প্রাণের এই উৎসবকে ঘিরে । প্রাণের টানে ইতিমধ্যে হাজারো মানুষ ঘর থেকে বেরিয়েছে। আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা সবাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top