সকল মেনু

ফ্রোজেন ইলিশের হালি ২৪ হাজার টাকা!

১০.নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১০ এপ্রিল : দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ- বাংলা নববর্ষ। বাকি মাত্র ৫ দিন। এ উৎসবের অনুসঙ্গ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে পান্তা-ইলিশের অায়োজন। নববর্ষে উপলক্ষে তাই ইলিশের চড়া দাম। কোল্ডস্টোরেজে ফ্রিজিং করে রাখা এক হালি ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ২৪ হাজার টাকা।

এটি আসলে ইলিশের সময় নয়। এ সময় ইলিশ বড় হতে থাকে। এ বছর বাংলা নববর্ষে তাই কেউ যেন ইলিশ না খান, সেজন্য চালানো হচ্ছে ব্যপক প্রচারণা। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ইলিশ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ‘উৎসবে থাক সবকিছু, আনন্দ-উচ্ছ্বাস চলুক. তবে খাবারে ইলিশ নয়’- এই হচ্ছে এসব প্রচারণার মূল বক্তব্য।

শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় ইলিশগুলো দুই থেকে তিনমাস আগের ধরা। বৈশাখে চড়া দামে বিক্রির জন্যই তিনমাস আগে চাঁদপুরে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছিল। কারওয়ানবাজারে বিক্রেতাদের কাছে বড় আকারের ফ্রোজেন ইলিশ দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানান, তিনমাস আগে সাগর থেকে ধরে ইলিশগুলো চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন কোল্ডস্টোরেজে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছিল।

ব্যবসায়ীরা জানান, দুই পদ্ধতিতে ইলিশ মাছগুলো কোলস্টোরেজে রাখা হয়। এসব কোলস্টোরেজে এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত ইলিশ মাছ সংরক্ষণ করে রাখা যায় বলেও জানান তারা।

কারওয়ানবাজারে সবচেয়ে বড় ইলিশের দেখা মিলেছে আল্লার দান ফিসের মালিক শুক্কুর আলীর কাছে। এক হালি বিশাল ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ২৪ হাজার টাকা। বিক্রেতার দাবি, প্রতিটি ইলিশের ওজন হবে দুই কেজি। তিনমাস আগে সাগর থেকে ধরে এসব ইলিশ ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে।

শুক্কর আলী বলেন, প্রতিটি ইলিশ দুই কেজি ওজনের হবে। প্রতি হালি ইলিশের দাম ২৪ হাজার টাকা। তিনমাস আগে চাঁদপুরে এসব ইলিশ কোল্ডস্টোরেজে রাখা হয়। এখন ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ, তাই ফ্রোজেন ইলিশ বিক্রি করছি’।

অনেকে আবার কাঁচা ইলিশ বলে ক্রেতাদের ধোঁকা দিচ্ছেন। আসলে বড় সব ইলিশই কোল্ডস্টোরেজের।

কারওয়ানবাজারে ‘কাঁচা ইলিশ, কাঁচা ইলিশ’ বলে হাঁক ছাড়ছিলেন বিক্রেতা মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘সবেমাত্র ধরে আনছি’।

আসলে তিনি মিথ্যা কথা বলে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

তবে ওজনের তারতম্যে ইলিশের দামের তারতম্য আকাশ পাতাল তফাৎ। নগরীতে ৫০০ গ্রাম ইলিশ ৪৫০ টাকা ও ৬০০ গ্রাম ইলিশ ৮শ’ টাকায় মিলছে। তবে এক কেজি ওজনের ওপরের ইলিশ কিনতে হলে গুণতে হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত।

আকাশ চড়া দাম প্রসঙ্গে ইলিশ বিক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, ‘পয়লা বৈশাখ। সবাই কম বেশি ইলিশ খায়। এর লেইগ্যা দাম চড়া’।

ব্যবসায়ী আসিফ মাহমুদ ও মুরতানি আসমা ধানমণ্ডি থেকে ইলিশ কিনতে এসেছিলেন। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে বাজারে ঘোরাঘুরি করেও কাঙ্ক্ষিত দামে ইলিশ মেলাতে পারছিলেন না।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ইলিশের দামে আগুন বললে ভুল হবে। ইলিশ মাছের দাম আগুনের ওপরে। বিক্রেতাদের মুখে যা আসছে, তাই দাম বলে দিচ্ছেন’।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top