সকল মেনু

রমজানকে সামনে রেখে পেঁয়াজ-মরিচের বাজার বৃদ্ধি

2012-09-13-11-15-34-5051c05656dab-indexবগুড়া অফিসঃ রমজানকে সামনে রেখে বগুড়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের বাজারে লেগেছে আগুন। বাজারে মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বগুড়া চেম্বার অব কমার্সসহ ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, টিসিবি’র খোলা বাজারে পণ্য বিক্রয় এবং বাজার মনিটরিং কমিটি বিভিন্ন পেশাজীবিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেও এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীদের কারনে বাজার নিয়ন্ত্রন থাকছে না। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পর পবিত্র মাহে রমজান । এরই মধ্যে বগুড়ার বাজারগুলোতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ছোলা, সোয়াবিনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে।শহরের ফতেহআলী, রাজাবাজরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সম্পাহের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ গত সম্পাহের তুলনায় কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোলা কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল দেশী ৫ টাকা বেড়ে ১০৮ টাকা ও বিদেশী ডাল ৪ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খেসারি ডাল ৪ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, চিনি ৪ টাকা বেড়ে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুড়ি ৫ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা, আলু ৪ টাকা বেড়ে ১৪ টাকা, উন্নত মানের বেসন ৫ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোয়াবিন তেল লিটার প্রতি ৫ টাকা বেড়ে ১২৬ টাকা, ইরাক থেকে আমদানি করা খেজুর কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা ও সৌদি খেজুর ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বয়লার মুরগি কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা, খাসির মাংস কেজি প্রতি ২৫ টাকা বেড়ে ৪০০ টাকা ও গরুর মাংস ১০ টাকা বেড়ে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই মাছ কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও রমজানকে ঘিরে ডিম,গাভীর দুধ, আখেড়গুড়, লেবু, আম, কলা, কাঠাল, আনারসসহ সব ধরনের ফলে দাম বেড়েছে। বগুড়া কলেজ বাজার, কলোনী বাজার, গোদারপাড়াসহ অন্যান্য বাজারগুলোতেও প্রায় একই দৃশ্য। টমেটোর দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে পেঁপে’র দামা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে, শাক সবজির দাম। দাম বেড়েছে, চিংড়ি, টেংরাসহ সব ধরনের ছোট মাছের। কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টির কারনে অনেক কাঁচা মরিচ নষ্ট হয়েছে। সেকারনেও মরিচের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে প্রায় সব ধরনের চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে খুচরা বিক্রেতারা জানান, সম্প্রতি ভারতে বন্যার কারনে সে দেশ থেকে পেঁয়াজ না আসায় বাজারে পেঁয়াজে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়াও রমজান মাসে বছরের অন্য মাসের তুলনায় ইফতার সামগ্রীসহ অন্যান্য জিনিষ তৈরীতে পেঁয়াজ বেশী প্রয়োজন হয়। তাছাড়া ক্রেতা সাধারণ রমজান মাসে একটু বেশী পেঁয়াজ মরিচ ক্রয় করে থাকে। এদিকে রমজানকে সামনে রেখে টিসিবি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক যোগে সোয়াবিন তেল, চিনি ছোলাসহ বেশ কিছু পণ্য সামগ্রী বাজারের তুলনায় কিছু কম দরে খোলা বাজারে বিক্রি করলেও বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। শহরের ফতেহ আলী বাজারে বাজার করতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসন মিটিং করে দ্রব্য মুল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেস্টা করলেও বাজারে তার তেমন প্রভাব পড়ছে না। সচেতন ক্রেতাদের ধারনা , চেম্বার অব কমার্স ও জেলা প্রশাসন সম্মিলিত ভাবে বাজার মনিটর এবং সেই সাথে ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বাজারগুলোতে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলে হয়তো কিছুটা বাজার নিয়ন্ত্রন থকাবে। শহরের চেলোপাড়ার শাহজাহান নামে এক ক্রেতা জানান, শহরের বেশীর ভাগ মাছ মাংস’র বাজারগুলোতে দোকানীরা ওজনে কম দিয়ে থাকে। বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালতের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখলে অতিলোভী,মজুদদার, বা মুনাফাখোরদের কাছ থেকে ক্রেতা সাধারণ রক্ষা পাবে। নিয়ন্ত্রন থাকবে ক্রয় ক্ষমতা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top