নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৩১ মার্চ : চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় এক কিশোরকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে, হাত-পায়ে সুঁচ ঢুকিয়ে, মুখে গরম পানি ঢেলে বর্বরতা চালিয়েছে একদল নরপশু।
ক্ষত-বিক্ষত শরীর নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে মোহাম্মদ শাকিল (১৪)। বাড়ি থেকে স্বর্ণ চুরির অপবাদ দিয়ে শাকিলের খালাতো ভাইরা এই নির্যাতন চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় শাকিলের বাবা রহমত আলী বাদী হয়ে সোমবার আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলো- খুইল্লা মিয়া (৫৫), আবদুল মালেক (৩৫), মোহাম্মদ রাসেল (৩২) ও মোহাম্মদ ছবুর (৩৬)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার তৈলারদ্বীপ ইউনিয়নের এরশাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ শাকিল খালাত ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে তৈলারদ্বীপে খালার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বিয়েবাড়িতে কিছু স্বর্ণালংকার হারানো গেলে খালাত ভাইয়েরা শাকিলকে সন্দেহ করে। রোববার খালাত ভাইয়েরা শাকিলকে ধরে নিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। তারা তার হাত ও পায়ে সুঁচ ঢুকিয়ে স্বর্ণ চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে মুখে গরম পানি ঢেলে দেয়া হয়। অমানুষিক নির্যাতনে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায় পাষন্ডরা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন বলেন, তৈলারদ্বীপে শিশু নির্যাতনের ঘটনা সিলেটে শিশু রাজন হত্যার ঘটনাকে হার মানিয়েছে। শিশুটির ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। শিশুটির বাবা একজন দিনমজুর। পূর্ব শত্রুতাবশত শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে খালাত ভাইয়েরা। বর্তমানে সে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তৈলারদ্বীপ এরশাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুর রহমান জানান, শাকিল তার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। অমানুষিক এই ঘটনায় সবাই হতবাক।
আনোয়ারা থানার এসআই নিমাই চন্দ্র পাল জানান, পুলিশ মর্মান্তিক এই ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।