সকল মেনু

প্রেমিক হত্যা মামলায় প্রেমিকার মৃত্যুদণ্ডাদেশ

৪৭.নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৯ মার্চ : খুলনায় কলেজছাত্র ইমদাদুল হক শিপন হত্যা মামলায় তার প্রেমিকা ফাতেমা আক্তার সোনালীকে (২১) মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সোনালীর বন্ধু মেহেদী হাসান অনিককে খালাস দেয়া হয়। রায় ঘোষণাকালে আসামি সোনালী আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত  সোনালী খুলনা মহনগরীর হরিণটানা থানার কৈয়া বাজারস্থ জয়খালী গ্রামের মৃত খবির গাজীর মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৮ মার্চ খুলনা মহানগরীর জোড়াগেট গণপূর্ত বিভাগের আবাসিক কলোনী থেকে শিপনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিপনের ভাই মো. বাবুল মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ১৫ মার্চ শিপনের প্রেমিকা ফাতেমা আকতার সোনালীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন সোনালী। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে জড়িত মেহেদী হাসান অনিক নামে আরেকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার এস আই শওকত হোসেন দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার তদন্তে উঠে আসে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক কাহিনী, যা মামলার বিচারের সময় প্রমাণিত হয়েছে।

মামলার অভিযোগপত্রে হত্যার কারণ উল্লেখ করে বলা হয়, নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার গণপূর্ত বিভাগের আবাসিক কলোনীতে মামা আবু বক্করের বাসায় থেকে নগরীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করতেন শিপন। পাশাপাশি তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লিফট অপারেটরের দায়িত্ব পালন করত। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোনালীর সঙ্গে শিপনের পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সোনালী জানতে পারে, শিপনের অন্য  মেয়ের সঙ্গে  সম্পর্ক রয়েছে। এতে সোনালী শিপনের ওপর চরম ক্ষুব্ধ হয় ও তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ওই বছরের ৬ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত শিপনের মামা মাগুরায় গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। ৮ মার্চ শিপনের বাসায় যায় সোনালী। এর আগে সোনালী ২০টি ঘুমের বড়ি গুড়ো করে আরসি কোলার ভেতরে মিশিয়ে নেয়। বাড়িতে গিয়ে সোনালী শিপনকে ঘুমের ওষুধ মেশানো আরসি কোলা খাইয়ে দেয়। শিপন অচেতন হয়ে পড়লে তার হাত-পা বেধে গলাকেটে শিপনকে হত্যা করে। হত্যার পর শিপনের বুক ফেড়ে কলিজা বের করে লাশের পাশে ফেলে রেখে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় সোনালী।

আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত সোনালীকে রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মেহেদী হাসান অনিককে বেকসুর খালাশ প্রদান করা হয়।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top