সকল মেনু

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধে কঠোর আইনের দাবি

indexহটনিউজ ডেস্ক: ভবিষ্যত জাতি গঠনে ও নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার মিথ্যা ইতিহাসের বিভ্রান্তের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করার জন্য ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও অবমাননাকর রোধে কঠোর আইন করার দাবি জানান বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম-বোয়াফ।

শনিবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস-এ শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতকিৃতিতে পুষ্পার্পন শেষে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে আজ চুয়াল্লিশ বছর পরও কতিপয় ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও অবমাননার মতন দৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, এ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে যা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক, ক্ষতিকারক।

তিঁনি আরো বলেন, ইতোমধ্যেই মিডিয়ায় প্রকাশিত আইন কমিশন ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ অপরাধ’ শিরোনামে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা অস্বীকার করাসহ মুক্তিযুদ্ধের অবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর কারাদণ্ড এবং অতিরিক্ত দণ্ড হিসেবে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে খসড়া আইন তৈরি করেছে যা অতি লগু দন্ড বলে আমাদের কাছে প্রতীয় মান।

বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তি বা মহলের জন্য খসড়া আইনে প্রণীত শাস্তি ও অর্থদন্ড বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অতি নঘন্য; আর তাই আরও কঠোর শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার জন্য আইন কমিশন’র প্রতি আহবান জানান সংগঠনের পক্ষে বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।

স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস-এ পুষ্পার্পন অর্পনে বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজীব, সৈয়দ রাজীব আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল হক, ইমরান খান শ্রাবন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিব, এনায়েত হোসেনসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top