সকল মেনু

স্থায়ীভাবে শ্যালা নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ

sajahan-khan (1) হটনিউজ প্রতিবেদক : বাগেরহাটের মংলায় সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্যালা নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
সচিবালয়ে বুধবার নদীর নাব্যতা ও স্বাভাবিক গতি প্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভা শেষে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘শ্যালা নদীতে একটি ট্যাঙ্কার, পরবর্তী সময়ে কয়লাবাহী জাহাজ দুর্ঘটনায় পরিবেশগত হুমকি দেখা দিয়েছে।’
‘ইতোমধ্যে আমরা সেখানে (শ্যালা নদী) জাহাজ চলাচল বন্ধ করেছিলাম। ১২ ফুট গভীরতার জাহাজ আমরা মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে চলাচল করাচ্ছি। এর চেয়ে বেশি গভীরতার জাহাজগুলো শ্যালা নদী দিয়ে চলত। তবে তার সংখ্যা খুব বেশি নয়,’ বলেন শাজাহান খান।
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে একটি কয়লাবাহী জাহাজ ডুবে যাওয়ায় শ্যালা নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এ ব্যবস্থা স্থায়ী। এখন থেকে ১২ ফুটের বেশি গভীরতার জাহাজ আন্ডার লোড (পণ্য কমিয়ে বহন) করে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে চলাচল করতে হবে।’
তবে আটকে থাকা বাংলাদেশ-ভারত প্রটোকলের ১২ ফুটের বেশি গভীরতার কয়েকটি জাহাজ আপাতত শ্যালা দিয়ে পার করে দেওয়া হবে জানিয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘এরপর আর কোনো জাহাজ শ্যালা নদী দিয়ে চলাচল করবে না। সেভাবেই কোস্ট গার্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তারা সেভাবে কাজ শুরু করেছে।’
সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হক জানান, গত সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে প্রায় ১৫ হাজার জাহাজ চলাচল করেছে।
২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বাগেরহাটের সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীতে অপর একটি জাহাজের ধাক্কায় সাউদার্ন স্টার-৭ ডুবে যায়। সাউদার্ন তিন লাখ ৫৭ হাজার লিটার ফার্নেস ওয়েল বহন করছিলো। ডুবে যাওয়া জাহাজের তেল ছড়িয়ে পড়ে নদীতে।
এর একদিন পরই এ রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। পরে জাহাজ চলাচল শিথিল করা হলেও সব ধরনের জাহাজই চলছিল এ নৌরুট দিয়ে।
সর্বশেষ গত শনিবার পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুলবুনিয়া এলাকায় শ্যালা নদীতে ‘এম ভি সি হর্স-১’ নামের কয়লাবাহী জাহাজ ডুবে গেছে।
শ্যালা নদী দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলের কারণে সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ করে আসছিল বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। এজন্য পরিবেশবাদী সংগঠনের সঙ্গে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ও এ রুটে স্থায়ীভাবে নৌযান চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top