সকল মেনু

জয় বাংলা কনসার্টে আর্মি স্টেডিয়ামে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস

৩৬.নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৮ মার্চ: মহান মুক্তিযুদ্ধ এই শ্লোগান যেমন সারাদেশের মানুষকে এক সূত্রে গেঁথেছিল, তেমনি প্রতিটি সংকটে এবং জাতির অর্জনেও যেন এই শ্লোগান পুরো জাতিকে একতাবদ্ধ করে। এই প্রত্যয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ভাষণ উপলক্ষে ‘জয় বাংলা’ কনসার্টের আয়োজন করে ইয়্যাং বাংলার সেক্রেটারিয়েট সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)। তরুণদের পদচারণায় মুখরিত হয়েছিল গতকাল সোমবার আর্মি স্টেডিয়ামে  আয়োজিত ‘জয় বাংলা কনসার্ট’। কনসার্ট উপভোগ করার জন্য প্রায় ৩০ হাজার তরুণ বিনামূলে ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে।

‘জয় বাংলা’ শ্লোগানটি উচ্চারিত হচ্ছিল মঞ্চে, স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো দর্শকের কণ্ঠে। সত্যিই তো ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানটি কেন এভাবে আমাদের অস্তিত্বের অংশ হয়ে গেল! এই একটি শ্লোগান মুক্তিযুদ্ধে সারাদেশের মানুষকে একটি প্রত্যাশায়, একটি প্রতীজ্ঞায় এক করে তুলেছিল। ‘জয় বাংলা’ হচ্ছে প্রত্যেকের অবস্থান থেকে দেশকে ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে পাওয়া এই বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করে তুলতে কাজ করে যাওয়ার প্রেরণার উচ্চারণ।

৭ই মার্চ, বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ, যা সারা বাংলার মুক্তিকামী জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল পরাধীনতার শৃঙ্খলা থেকে বের হবার প্রয়াসে। সেই বিশেষ দিনে দেশের তরুণদের ৭ই মার্চের ভাষণে উজ্জীবিত করতে গতকাল এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়। জনপ্রিয় শিল্পীরা কনসার্টে নিজেদের গানের পাশাপাশি গেয়ে শোনান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অমর গানগুলো। ৭ই মার্চের চেতনায় গর্জে ওঠার দুরন্ত আহ্বান নিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে হাজির হয়েছিল জনপ্রিয় ব্যান্ড ওয়ারফেইজ, শিরোনামহীন, ক্রিপ্টিক ফেইট, লালন, শূন্য, নেমেসিস এবং আর্বোভাইরাস গভীর রাত পর্যন্ত মাতিয়ে রেখেছিল তরুণ দর্শকদের। বিশেষ আকর্ষণ ছিল ওয়ারফেইজের কণ্ঠে জর্জ হ্যারিসনের বিখ্যাত ‘বাংলাদেশ’ গানটি। বড় চমক ছিল বড় পর্দায় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি যখন রঙিনে দেখানো হয়। যেন সাদা-কালো সেই অতিপরিচিত ঘটনাটি চোখের সামনে ঘটছে। এই আয়োজনটি দর্শকদের মাঝে আলোড়ন তোলে। প্রথমবারের মত বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি দেশে প্রদর্শন করা হলো।

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ইয়াং বাংলা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত কণ্ঠস্বর। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে— বাংলাদেশের সর্বস্তরের যুবকদের সমন্বিত করে তাদের প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা। বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে জাতীয় সঙ্গীতের সুর মূর্চ্ছনায় শুরু হয় কনসার্ট। দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই পুরো আর্মি স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। গানের সুরে নেচে গেয়ে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত আনন্দে মেতে ওঠেন তারা।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top