সকল মেনু

আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে চাঁদপুরের আদিগন্ত

index শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলার প্রকৃতিতে শীতের বিদায়ের সাথে সাথে বসন্তের আগমনে ফাগুনের হাওয়া চারদিকে মুখরিত। সময়ের পালাবদলে প্রকৃতির এই খেলায় ঋতুরাজ বসন্তের প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। আগুন ঝরা মেঠো পথের দূর সীমানা থেকে ভেসে আসছে কোকিলের কুহুকুহু কলতান। নানা ফুলের সঙ্গে সুর ছড়াচ্ছে আমের গাছের মুকুলও। জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ চারিদিকে কেবল মৌ মৌ করতে শুরু করেছে। মুকুলে সেই সুমিষ্ট সুবাস আলোকিত করে তুলছে মানুষের হৃদয়। বনফুল থেকে মৌমাছির দল গুণগুণ করে ভিড়তে শুরু করেছে এই সব আমের মুকুলে। গাছের শাখার পর শাখায় ফুলগুলো চারিদিক যেন ফাল্গুনের রূপের ঝলসানোময় উচ্ছ্বাসের জানান দিচ্ছে। ঋতু বৈচিত্রের মুধুর মাস আগমন এই বসন্তের। সবুজ প্রকৃতির আমেজ অনেকটা এখন আবেগের। বসন্তের ফাল্গুন আর আমের মুকুল তাই যেন একই সূত্রে গাঁথা। বছরের এই নির্দিষ্ট সময় জুড়ে প্রায় চারিদিকে শ্রেণী পেশার মানুষেরও দৃষ্টিও থাকে চির সবুজ আম গাছের মগডালে। আম গাছে মকুল ফোটার এ দৃশ্য ছেঁয়ে গেছে চাঁদপুর জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও। জেলার সব এলাকাতেই এখন কম-বেশি রয়েছে আমের বাগান। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই এই আমের বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। তবে গড়ে উঠা নতুন আম বাগানগুলো প্রায় বনেদি জাতের। বিশেষ নির্মিত জাত লেংরা, গোলাপভোগ, হাড়ি ভাঙ্গ, কিসরাপাত ও আর্ষিণা জাতের আম গাছ সবার পরিচিত। এ গাছগুলো হয়ও বেশি। আম চাষি হাসান খান জানান, এ বছরের আবহাওয়া আমের মুকুলের জন্য বেশ অনুকূলে। টানা শীত ও কুয়াশার দাপট কেটে আবহাওয়া আমের মুকুলের আর্শিনা এসেছে। গতবারের মতো এ মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়ার তেমন বিপর্যয়ও ঘটেনি। এরই মধ্যে আমের গাছে গাছে মুকুল ব্যাপকভাবে এসেছে। আশা করছি ভরা ফাল্গুনে এবার আম গাছে ব্যাপক আম ধরবে। এর মধ্যে শীলা বৃষ্টি হলে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এই আশঙ্কাও রয়েছে। আবহাওয়া ও প্রকৃতির দুর্ভোগ নিয়েই যথেষ্ট শঙ্কায় রয়েছে এই আম চাষি। তবে গাছে গাছে আমের যেভাবে মুকুল এসেছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি জানান।
এ দিকে জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-কৃষি সহকারী আব্দুল মান্নান জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার আম গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হবে না। তবে ছত্রাক জনিত রোগেও আমের মুকুল ফুল গুটি আক্রান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাক নাশক ২ গ্রাম অথবা এ মাডোক্লোরিড গ্রুপের দানাদার প্রতি লিটারে ২ গ্রাম তরল .২৫ মিলি মিটার ও ১ মিলি লিটার মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আবার মুকুল গুটিতে রূপান্তরিত হলে একই মাত্রায় ২ বার স্প্রে করতে হবে। এতে ছত্রাক জাতীয় রোগ থেকে আমের মুকুলগুলো রক্ষা পাবে সেই সাথে জেলায় বাম্পার আমের ফলন হবে বলে তিনি আশা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top