সকল মেনু

কাল এসএসসি পরীক্ষা শুরু

১২.নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৩১ জানুয়ারী :  এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। এবারের পরীক্ষায় ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী। তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হয়ে ৮ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৯ মার্চ হতে শুরু হয়ে ১৪ মার্চ শেষ হবে।

গত শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দেয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। পরীক্ষার ফল দেয়ার সময় বলা হয় আমরা শিক্ষকদের বেশি নম্বর দেয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু আমরা এটা করি না। খাতা যাতে সঠিকভাবে দেখা হয় এটা আমরা বলি। পরীক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেবেন। সঠিকভাবে খাতা মূল্যায়ন করে ফলাফল দেবেন। এতে সংখ্যা বাড়ল না কমল তাতে আমাদের কোনো চাপ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার এসএসসি পরীক্ষায় প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট বিরতি থাকবে। এবারের পরীক্ষায় বাংলা ২য় পত্র এবং ইংরেজি ১ম ও ২য়পত্র ছাড়া সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর হতে গণিত ও উচ্চতর গণিত বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া গত বছর হতে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা নামে একটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি জনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রালপালসি আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় এবং পরীক্ষার কক্ষে তার অভিভাবক/শিক্ষক/সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগে তত্ত্বীয় পরীক্ষা হলে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টির সুযোগ থাকে। এটা বন্ধ করতে প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী বছর থেকে এমসিকিউ পরীক্ষায় ১০ নম্বর কমিয়ে দেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সব ইনডিকেটর (সূচক) বলে দিচ্ছে গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, ছাত্রীর সংখ্যা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রের সংখ্যা  বেড়েছে। বিজ্ঞানে শিক্ষার্থীরা ভালো করছে, দিন দিন বিজ্ঞানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় বিজ্ঞানে এবার ৫৬ হাজার ২৮৬ পরীক্ষার্থী বেড়েছে। মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে পৌনে দুই লাখ। বিদেশে আটটি কেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হবে। এ সব কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০৪ জন।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top