সকল মেনু

২১ আগস্ট মামলায় সাক্ষ্য দিলেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর

1453729385নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৫ জানুয়ারী : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা তৎকালীন সরকারের ‘উপর-মহলের পৃষ্ঠপোষকতায় ও সামরিক অস্ত্র পরিচালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দ্বারা’ হয়েছে দাবি করে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে সোমবার গ্রেনেড হামলা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ২০৬ নম্বর এই সাক্ষীর জবানবন্দি শুনেন।

জবানবন্দিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঘটনাস্থলের তিনশ গজের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবস্থিত হলেও হামলার পর তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এতেই বুঝা যায় যে, ঘটনায় তাদের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল।

২১ অগাস্টে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় এই জবানবন্দি শেষে আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীরকে আসামিপক্ষ থেকে আংশিক জেরা করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহকারী আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল।

আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল বলেন, অবশিষ্ট জেরার জন্য মঙ্গলবার দিন রাখা হয়েছে।

সোমবার জবানবন্দি দেয়ার পর মামলার আসামি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের আইনজীবীরা মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে জেরা করেন।

একুশে অগাস্টের মামলায় এর আগে ১৮ জানুয়ারি সাক্ষ্য দেয়ার কথা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে আদালতে আসেননি মহিউদ্দিন খান আলমগীর। মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ কারাগারে আটক মামলার আসামিদের এদিন আদালতে হাজির করা হয়।

এছাড়া জামিনে থাকা আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলামও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদও আসামি ছিলেন। সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধ মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন কয়েকশ নেতাকর্মী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top