সকল মেনু

না’গঞ্জের আলোচিত ৫ খুনের মামলা ডিবিতে

medicalbg_445011169নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১৮ জানুয়ারী : নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইলে ফ্ল্যাট বাসায় দুই শিশুসহ একই পরিবারের ৫জনকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা  মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার রাতে পুলিশের ঊর্ধ্বতর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক মামলা হস্তান্তরের বিষয়টি জানিয়েছেন।

তবে ডিবির ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডল জানিয়েছেন, তারা আনুষ্ঠানিক নথি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করবেন।

এর আগে রোববার সকালে নিহত তাসলিমা বেগমের স্বামী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আমার স্ত্রী তাসলিমা (২৮), মেয়ে সুমাইয়া (৪), ছেলে শান্ত (১০), ছোট ভাই শরীফ (২২) ও তার স্ত্রী লামিয়া (২০), শ্যালক মোর্শেদুল ওরফে মোশাররফ নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইলে ইসমাইল হোসেনের বাড়ির নিচ তলার ফ্ল্যাটে বসবাস করে আসছিলেন।

মামলায় বলা হয়, ১০ বছর ধরে আমি (শফিকুল) ঢাকার জনৈক জিয়ারুল হাসান এর গাড়ির চালক হিসেবে কর্মরত রয়েছি। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার আমি নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইলের বাসায় আসতাম। তবে গত শনিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আমার ছোট ভাই শরীফ আমার মোবাইলে ফোন করে অবহিত করে যে, কে বা কারা আমাদের বাবুরাইলের ফ্ল্যাটে তালা মেরে পালিয়ে গেছে। পরে আমরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দু’টি কক্ষের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় ৫ জনের মৃতদেহ দেখতে পাই।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আমি পরস্পর জানতে পারি যে, আমার স্ত্রী তাসলিমার কাছে ঢাকার কলাবাগানের নাজমা ও শাহাজাহানসহ একাধিক ব্যক্তি প্রায় ১২ লাখ টাকা পেতেন যা মাসিক চক্রবৃদ্ধি সুদে নেয়া ছিল। ওই টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় পাওনাদাররা প্রায়ই টাকা পরিশোধের জন্য হুমকি দিতেন। এমনকি নাজমাও মাঝে মধ্যে আমার পরিবার ও সন্তানদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবেন বলে হুমকি প্রদান করতেন। আমার শ্যালক মোর্শেদুল ওরফে মোশাররফের কাছেও টাকা পেতেন তারা। টাকা-পয়সা পাওয়ার সুবাধে পাওনাদার ব্যক্তিরা আমার বাসায় যাওয়া-আসা করতেন এবং এ ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করতেন।

এছাড়া আমার ভাগিনা মাহফুজ আমার ছোট ভাই শরীফের স্ত্রী লামিয়ার সঙ্গে ঢাকায় বসবসাসের সময়ে যৌন আবেদন করলে পরবর্তীতে মাহফুজকে আমরা ঢাকায় রেখে নারায়ণগঞ্জ চলে আসি। ভাগিনা মাহফুজ পুনরায় নারায়ণগঞ্জ এসে আমাদের বাসায় এসে শরীফের স্ত্রী লামিয়ার সঙ্গে একই ধরনের ব্যবহার ও আচরণ করতো। এতে আমার ভাইয়ের স্ত্রী লামিয়া অসন্তুষ্ট হয়। আমার স্ত্রী তাসলিমা ও ছোট ভাই শরীফের কাছে লামিয়া বিষয়টি প্রকাশ করে দেয়।

এতে করে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, ওই ব্যক্তিসহ (মাহফুজ) অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীরা একই উদ্দেশ্যে পরস্পরের যোগসাজশে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত যেকোনো সময়ে শক্ত কোনো ভোতা অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম ও গলায় ফাঁস লাগিয়ে ৫ জনকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে তাসলিমার স্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও শ্যালক মোর্শেদুল ওরফে মোশারফের মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছে না।

হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top