সকল মেনু

করফাঁকি: মান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

gjiহটনিউজ: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ১৮ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম এ মান্নানের একটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর।
রাজস্ব বোর্ডের দাবি বকেয়া ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮০১ টাকার সমপরিমাণ কর পরিশোধ না করায় মান্নানের মার্কেন্টাইল ব্যাংকের গুলশান শাখার ব্যাংক হিসাবটি জব্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি এনবিআর থেকে চিঠি পাঠিয়ে অধ্যাপক মান্নানকে তার ব্যাংক হিসাব জব্দের কথা জানানো হয়।
মান্নান অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি সঠিকভাবে কর পরিশোধ করলেও এনবিআর তার কাছে অতিরিক্ত কর দাবি করছে।
এনবিআর বলছে, ক্যাপিটাল প্রোপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের এই পরিচালকের কাছে তাদের দাবি ২৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮০১ টাকা। এর মধ্যে ২০০৭-০৮ অর্থবছরের জন্য বকেয়া রয়েছে ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮১ টাকা। বাকি পাওনা ২০১১-১২ অর্থবছরের জন্য।
২০০৭-০৮ অর্থবছরে এম এ মান্নান স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে যে আয়কর বিবরণী দাখিল করেন তাতে তিনি মোট আয় দেখিয়েছেন ৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা। এর বিপরীতে তিনি কর বাবদে পরিশোধ করেছেন ৭০ হাজার ৪১৪ টাকা।
কিন্তু এনবিআর তার এই তথ্য আস্থায় নিতে না পেরে আয় ও সম্পদের পরিমাণ যাচাইয়ের জন্য বিশেষ তদন্ত চালায়।
এনবিআরের অনুসন্ধানে দেখা যায় ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে মান্নানের মোট আয়ের পরিমাণ ছিল ৯৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর বিপরীতে করের পরিমাণ হয় ২২ লাখ ৪ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা।
এনবিআরের এ দাবির প্রেক্ষিতে আপিল করেন এম এ মান্নান। আপিলের পর হিসাব শেষে তার মোট আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৬ লাখ ৮ হাজার টাকা। এর ভিত্তিতে তাকে ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৪ টাকা কর দিতে বলা হয়।
কিন্তু মান্নান আবারো আপিল করেন। ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার সংশোধিত আয় দাঁড়ায় ৯৩ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৮ টাকা। যার বিপরীতে ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮১ টাকার কর দাবি করে এনবিআর, যার পুরোটাই বকেয়া রয়েছে।
মান্নান বলেন,“এনবিআরের এ দাবি অযৌক্তিক। আমি ইতোমধ্যে কর কমিশনারের কাছে আপিল করেছি।”
এম এ মান্নান ২০০৭-০৮ অর্থবছরের সম্পদ বিবরণীতে যে সম্পদের তথ্য দিয়েছেন, তার মধ্যে ৩ কোটি ১৮ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকার অপ্রদর্শিত আয় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে।
সরকারের দেয়া কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগে তিনি গাজীপুর ফ্যাশনস লিমিটেডের শেয়ার কিনেছেন ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার।
এছাড়া গাজীপুর সদরে ৫ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকার জমি এবং গাজীপুরের দক্ষিণ সালনায় ৪০৪ শতাংশ জমি কিনেছেন ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকায়।
নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী ঋণ খেলাপী ও বিল (পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন) খেলাপীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না।
আয়কর আইনেও কর খেলাপীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ রয়েছে। তবে গত ৯ জুন মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর রিটার্নিং কর্মকর্তা মান্নানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন।
আর বকেয়া কর আদায়ের জন্য এনবিআর ১৩ জুন মান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top