সকল মেনু

বিশেষ আদালত গঠনের বিধান রেখে মানি লন্ডারিং অধ্যাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপন

বিশেষ আদালত গঠনের বিধান রেখে মানি লন্ডারিং অধ্যাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপন
বিশেষ আদালত গঠনের বিধান রেখে মানি লন্ডারিং অধ্যাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপন

ঢাকা, ০৮ নভেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ: বিশেষ ট্রাইব্যুনাল (আদালত) গঠনের বিধান রেখে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১৫ (সংশোধন) অধ্যাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। আজ রোববার জাতীয় সংসদে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক অধ্যাদেশটি উত্থাপন করেন।
অধ্যাদেশটিতে ২০১২ সালের ৫ নং আইনের ধারা ৯-এর সংশোধনে বলা হয়েছে, (১) অপরাধের তদন্ত ও বিচারে আপাতত অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ক্ষমতাপ্রাপ্ত এক বা একাধিক তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে গঠিত একাধিক তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যৌথ তদন্তকারী দল কর্তৃক তদন্ত করা যাইবে।
(২) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ criminal law (amendment) act, 1958(actxl of 1958) এর সেকশন ৩ এর অধীন নিযুক্ত স্পেশাল জজ কর্তৃক বিচার্য হবে।
(৩) অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তার সম্পত্তি অনুসন্ধান ও শনাক্তকরণের নিমিত্তে তদন্ত কর্মকর্তা এই আইনের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ৫ নম্বর আইনের প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(৪) তদন্তকারী সংস্থা এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে অবহিত করিতে পারিবে।
এছাড়া ২০১২ সালের ৫ নং আইনের ধারা ১৪-এর (ক) উপধারা (১) সংশোধন করে বলা হয়েছে- তদন্তকারী সংস্থার লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আদালত বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের বাইরে অবস্থিত মানি লন্ডারিং অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত সম্পত্তি বা অপরাধলদ্ধ আয় বা সম্পত্তি অবরুদ্ধকরণ বা ক্রোক আদেশ প্রদান করতে পারিবে। তবে শর্ত থাকে যে, মানি লন্ডারিং অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত, অপরাধলদ্ধ আয়, অর্থ বা সম্পত্তি চিহ্নিত করা সম্ভব না হইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সত্তার অন্য অর্থ বা সম্পত্তি হইতে সমমূল্যের অর্থ বা সম্পত্তি অবরুদ্ধ বা ক্রোক করা যাইবে।
সংশোধনী অধ্যাদেশে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার অর্থ উল্লেখ করে বলা রয়েছে, রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ (২০১০ সনের ৪৮নং আইন) এর ধারা ২(১৫) এ সজ্ঞায়িত যে কোনো রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার বা উহার কর্মকর্তা বা কর্মচারী; অথবা রিয়েল এস্টেট এজেন্ট যাহারা জমি, আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন এবং ফ্ল্যাট ইত্যাদি নির্মাণ ও ক্রয়-বিক্রয়ের সহিত জড়িত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top