সকল মেনু

দেশে ‘আইএস আছে’ বিশেষ মহলের অপপ্রচার: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী

দেশে ‘আইএস আছে’ বিশেষ মহলের অপপ্রচার: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী
দেশে ‘আইএস আছে’ বিশেষ মহলের অপপ্রচার: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা, ০২ নভেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ: বাংলাদেশে আইএস-এর উপস্থিতি নিয়ে বিশেষ মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
দেশের মাটিতে আইএস বা কোনো জঙ্গিবাদী সংগঠনের ঠাঁই হবে না বলেও সমাবেশ থেকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরেই এদেশে খুন-হত্যার রাজনীতি শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধ্বংস করতেই বঙ্গবন্ধু হত্যার পরপরই জেল হত্যাকাণ্ড ঘটানাে হয়। খুনি মুশতাক এবং জিয়াউর রহমান পরিকল্পিতভাবে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে ক্ষমতা স্থায়ী করতে চেয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। যুদ্ধাপরাধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বিশেষ আইন তৈরি করে বঙ্গবন্ধু মানবতাবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আল বদরদের বিচার শুরু করেছিলেন। খুনি জিয়া ক্ষমতায় এসে সেই বিচার বন্ধ করার পাশাপাশি রাজাকার-আল বদরদের রাজনীতিতে পুর্নবাসন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়ার সেই দেখানো পথেই খালেদা জিয়া এদেশে হত্যা ও খুনের রাজনীতি শুরু করে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়া এদেশকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের এক অভয় অাশ্রম গড়ে তুলেছিলেন। ২০০৮ এর নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় এনে বিএনপি জামায়াতের দুশাসনকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
উন্নয়নের নানা প্রসঙ্গের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ যখন পৃথিবীর যে কােনো উন্নয়নশীল দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ঠিক তখনই (২০১৩ সাল) বিএনপি জামায়াত আন্দােলনের নামে মানুষ হত্যা শুরু করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে খালেদা জিয়া সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিল। ৫৮২টি ভোট কেন্দ্র পুড়িয়ে এক নৈরাজ্যকর পরিবেশের জন্ম দেয়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার (খালেদা জিয়া) সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছি। অমন পরিস্থিতিতেই ৪০ শতাংশের বেশি ভোট নিয়ে আমরা আবারো ক্ষমতায় আসি।
তিনি বলেন, মহাজোট সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে দেশকে যখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করছে, ঠিক তখনই নতুন করে ষড়যন্ত্র করছেন খালেদা ও তার পুত্র তারেক রহমান। দেশের মাটিতে রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে বিদেশে গিয়ে এখন নানা কায়দায় মানুষ হত্যায় মেতেছেন বিএনপি নেত্রী।
খালেদা জিয়া গুপ্ত হত্যায় নেমেছেন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার পাশাপাশি নানা ষড়যন্ত্র করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছেন খালেদা জিয়া। আমরা তার এই ষড়যন্ত্র কোনো দিনই বাস্তবায়ন হতে দেব না।
সম্প্রতি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটকরা সবাই বিএনপি জামায়াতের কর্মী বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সকল বড় ভাইদের খুঁজে বের করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। অামরা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ, ত্রাণ ও দুর্যোগমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top